আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রায় ২.৫ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড লভ্যাংশ দিতে পারে। গত বছর ২.১ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রকে দিয়েছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এতে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমবে। চাইলে খরচও কিছুটা বাড়াতে পারবে। কমাতে পারবে রাজকোষ ঘাটতি।

যদি প্রকৃত অর্থপ্রদান ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করে, তাহলে এটি গত বছর আরবিআই কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশের চেয়ে প্রায় ২০% বেশি হবে। এ বছর অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রের অনুমান ছিল, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড খাতে ২.২ লক্ষ কোটি টাকা আয় হতে পারে। বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশিই হতে চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে কেন্দ্রের আর্থিকভাবে সহায়তা হবে। বিশেষ করে যখন সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরও বেশি ব্যয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

লভ্যাংশের প্রত্যাশিত বৃদ্ধি হয়েছে দু'টি প্রধান কারণে। প্রথমত, টাকার দামে ভারসাম্য বজায় রাখতে আরবিআই বাজারে প্রচুর পরিমাণে মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে। এই বিক্রির ফলে আয় হয়েছে। দ্বিতীয়ত, আরবিআই অন্য ব্যাকগুলিকে তহবিল প্রদান করে সেখান থেকে সুদ অর্জন করেছে।

একটি বিদেশী ব্যাঙ্কিং গ্রুপের বিশ্বাস, লভ্যাংশের পরিমাণ ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যা আরবিআইয়ের তরফ সরকারকে দেওয়া সর্বোচ্চ টাকার পরিমাণ হতে পারে। মে মাসের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) সঠিক লভ্যাংশের পরিমাণ ঘোষণা করতে পারে। গত বছর প্রত্যাশার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রকে দিয়েছিল আরবিআই।

২০১৮-এ কেন্দ্রকে উদ্বৃত্ত ভাঁড়ারের ভাগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, বেশি টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের তরফে চাপ দেওয়া হয়েছে। দেশের ঝুঁকি সামলানোর তহবিল সরকার আয় বাড়াতে ব্যবহার করছে বলেও আঙুল তুলেছিল বিরোধীরা।