আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সন্দেহের বশে স্ত্রীকে মেরেই ফেললেন স্বামী। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪২ বছরের আসমা এবং ৫৫ বছরের নুরুল্লা নয়ডার সেক্টর ১৫–র বাসিন্দা। দু’জনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিলেন। আসমা দিল্লিতে থাকতেন। সেখানকার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি পান। নয়ডার এক বেসরকারি সংস্থায় তিনি চাকরি করতেন। নুরুল্লা বিহারের বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁর চাকরি ছিল না। ২০০৫ সালে নুরুল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় আসমার। তাঁদের এক পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছে। পুত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। কন্যা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দম্পতির পুত্র থানায় ফোন করে খুনের কথা জানান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও ফরেন্সিক দল। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী। আসমার এক আত্মীয়ের দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই দম্পতির ঝামেলা চলছিল। সে কথা তাঁদের জানায় আসমার কন্যা।
তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই সন্দেহ করতেন স্বামী। সেই সন্দেহের বশেই শুক্রবার স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি মেরে খুন করেন স্বামী। অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল্লা হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
