আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিএএ (ক্যা)–র দ্বিতীয় ধাপ এনআরসি। একবার ‘ক্যা’ চালু করতে পারলে কেন্দ্র সরকার এনআরসি–ও লাগু করার চেষ্টা করবে। তাই মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় ‘ক্যা’ চালু করার চেষ্টা হলে সমস্তরকমভাবে তার প্রতিরোধ করা হবে। বুধবার এই ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা (দক্ষিণ) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শাহানাজ আলি রাইহান প্রচার শুরু করলেন ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মুশিদাবাদের ফারাক্কা বিধানসভা এলাকায়। বুধবার প্রচার পর্বে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম সহ একাধিক শীর্ষ তৃণমূল নেতা।
এদিন সকালে এনটিপিসি ২ নম্বর গেটের কাছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রচার শুরু করেন রাইহান। এরপর বেওয়া–১ এবং বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার সারেন।
রাইহান বলেন, ‘সিএএ ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী একটি আইন। এই আইন প্রয়োগ করে কেবলমাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে আগত নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপে কেন্দ্র সরকার এনআরসি লাগু করার চেষ্টা করবে। তাই ‘ক্যা’ লাগু করার চেষ্টা হলে তার প্রতিরোধ করা হবে।’
তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘প্রায় ৪৪ বছর ধরে মালদা (দক্ষিণ) লোকসভা গনি খান চৌধুরীর পরিবারের কোনও সদস্যকে এখানকার সাংসদ হিসেবে পেয়েছে। ২০০৬ সালে গনি খান চৌধুরী মারা যাওয়ার পর এখানকার মানুষ এমন কাউকে পায়নি যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলতে পারে। কিন্তু আমার প্রতি এখানকার মানুষের ‘ঘরের ছেলে’র সেই ভালবাসা দেখতে পাচ্ছি।’
গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে গঙ্গা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজই করছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সামশেরগঞ্জে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মালদার পারদেওনারপুরের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উল্টোদিকে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বারাণসীর ঘাটের সৌন্দর্যায়নের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’
শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। রাইহান বলেন,‘সাংসদ নির্বাচিত হলে ফারাক্কার বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা যাতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও পান সেই বিষয়ে সচেষ্ট হব।’
এদিন সকালে এনটিপিসি ২ নম্বর গেটের কাছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রচার শুরু করেন রাইহান। এরপর বেওয়া–১ এবং বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার সারেন।
রাইহান বলেন, ‘সিএএ ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী একটি আইন। এই আইন প্রয়োগ করে কেবলমাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে আগত নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরবর্তী ধাপে কেন্দ্র সরকার এনআরসি লাগু করার চেষ্টা করবে। তাই ‘ক্যা’ লাগু করার চেষ্টা হলে তার প্রতিরোধ করা হবে।’
তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘প্রায় ৪৪ বছর ধরে মালদা (দক্ষিণ) লোকসভা গনি খান চৌধুরীর পরিবারের কোনও সদস্যকে এখানকার সাংসদ হিসেবে পেয়েছে। ২০০৬ সালে গনি খান চৌধুরী মারা যাওয়ার পর এখানকার মানুষ এমন কাউকে পায়নি যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলতে পারে। কিন্তু আমার প্রতি এখানকার মানুষের ‘ঘরের ছেলে’র সেই ভালবাসা দেখতে পাচ্ছি।’
গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদে গঙ্গা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও কাজই করছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সামশেরগঞ্জে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মালদার পারদেওনারপুরের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। উল্টোদিকে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বারাণসীর ঘাটের সৌন্দর্যায়নের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’
শ্রমিকদের অধিকার এবং তাদের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। রাইহান বলেন,‘সাংসদ নির্বাচিত হলে ফারাক্কার বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরা যাতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও পান সেই বিষয়ে সচেষ্ট হব।’
