আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোহিত ও বিরাট আইপিএল চলাকালীন আচমকাই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন। ইংল্যান্ডে মূলত জুনিয়র ক্রিকেটারদেরই পাঠানো হয়েছিল। সঙ্গে রাহুল, জাদেজা, বুমরার মতো সিনিয়ররা। যদিও বুমরা তিনটির বেশি টেস্ট খেলেননি। ভারত যে দুটি টেস্ট জিতল সেই দুটিতেই বুমরা খেলেননি। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জিতল ভারত।
ওভালে টেস্ট জিতে ইংল্যান্ড থেকে সিরিজ জয় করে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ইরফান পাঠান।
ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে একরাশ বিতর্ক ছিল ভারতীয় দলের জন্য। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, দুই মহাতারকা আচমকাই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ান। অনেকের মতে, কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বনিবনার অভাব এর মূল কারণ। তার উপর নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় তরুণ শুভমন গিলের উপর। কিন্তু একটা জিনিস পরিষ্কার। লাল বলের ক্রিকেটে রোহিত–বিরাটের অভাব সেভাবে বুঝতে দেননি গিলরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠান লিখেছেন, ‘এই সিরিজ আরও একবার মনে করিয়ে দিল, ক্রিকেট কারও জন্য থেমে থাকে না।’ প্রাক্তন ক্রিকেটার যদিও কারও নাম নেননি। তবে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তায় মনে করা হচ্ছে, রোহিত–বিরাটকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বর্ডার গাভাসকর সিরিজেও রোহিত–বিরাটদের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আরও একটি মত হচ্ছে, জসপ্রীত বুমরাকেও ইঙ্গিত করা হতে পারে। বুমরার ওয়ার্কলোড নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন পাঠান।
এটা ঘটনা, সাম্প্রতিক অতীতে টেস্টে রোহিতের পারফরম্যান্স খুব খারাপ ছিল। ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছিলেন কোহলিও। এমন নয় যে, সাই সুদর্শনের মতো তরুণরা আহামরি কিছু করেছেন। তবু রোহিত–বিরাট জমানা ভুলে একটা নতুন দিশা পেল টিম ইন্ডিয়া। এই দলই এবার এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সবাই।
এদিকে মহম্মদ সিরাজ ম্যাজিক দেখা গেল ওভালে। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল।
চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ এদিন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হল তাঁরই হাতে।
ওভালে জেতার জন্য শেষ দিন ৩৫ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। ভারতের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল চার–চারটি উইকেট। ভারতের সুযোগ কম। বরং ইংল্যান্ড অ্যাডভান্টেজে বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। কিন্তু মহম্মদ সিরাজ অন্য কিছু হয়তো ভেবে রেখেছিলেন। দিনটা তাঁর। ওভাল টেস্টে লেখা থাকবে তাঁর নাম। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা শুরুতেই রান দিয়ে দিলেন একগাদা। চাপ বাড়ল ভারতের উপরে। সিরাজ বল হাতে প্রথমে ফেরালেন স্মিথকে। তার পরে ওভারটন। অন্যদিকে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অ্যাটকিনসন। তিনি মারমুখী। এদিকে কৃষ্ণর ইয়র্কারে উইকেট ভাঙল টংয়ের। অ্যাটকিনসনের উইকেট ভেঙে ব্রিটিশ-ভূমে নতুন এক রূপকথা লিখলেন সিরাজ।
