আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর। ভেঙে বললে, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই এসআইআর-এর পিছনের উদ্দেশ্য কী আদতে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ রাজ্যে কেন এসআইআর-এ তাড়াহুড়ো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এবার তৃণমূলের মমতার মতো কি তাহলে এসআইআর নিয়ে এক মত সিপিএম-এর পিনরাই বিজয়নের? 

সূত্রের খবর, বুধবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসআইআর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। আর বৈঠক শেষ জানা গিয়েছে, এসআইআর-এর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কোর্টে যাবে কেরল সরকার। গেরুয়া শিবির ছাড়া, সর্বদলীয় বৈঠকে বাকি সব দল সে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষেই মত দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী কেরলের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসও পাশে দাঁড়িয়েছে বলেই তথ্য। 

বুধবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেছেন, রাজ্য ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ জানাবে কেরল সরকার। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনলাইনে আয়োজিত সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিজয়ন জানিয়েছেন, আসন্ন স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন বিবেচনা করে, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি এসআইআর'কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আইনি পরামর্শ চাইবে। বিজয়নের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনের একটি আপডেট তালিকা কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করার কারণ কী? ঠিক এই পয়েন্ট তুলে ধরেই SIR-এর সমালোচনা করেন তিনি এবং এই পদক্ষেপকে 'আনসায়েন্টিফিক' বলে উল্লেখ করেছেন। উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

 

বিজয়নের প্রস্তাবগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলি একমত হয়েছে। সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (এলওপি) এবং কংগ্রেস নেতা ভিডি সতীসন বলেছেন যে যদি বিষয়টি আদালতে পৌঁছয়, তাহলে কংগ্রেস একটি আইনি পক্ষ হিসেবে এসআইআরের বিরোধিতা করবে।

বিজয়নের মত  প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই একই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। অভিষেকের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট জিতে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মোদি, তাহলে সেই তালিকা কেন গ্রাহ্য হবে না? তিনি ওই ভোটার তালিকার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা লোকসভা ভাঙার ডাক ও দিয়েছেন। 

 


কেরল এবং বিজয়নের মতামত প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সিপিআই, কংগ্রেস আই, আইইউএমএল এবং আরও বেশ কয়েকটি দলের মুখপাত্ররা এসআইআর বাস্তবায়নের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এমভি গোবিন্দন এসআইআরের বিরুদ্ধে সম্মিলিত মনোভাবের কথা ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতেও, এই প্রক্রিয়াটিকে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক।