আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবল ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে উত্তরপ্রদেশে প্রাণ গেল কমপক্ষে ৪৫ জনের। বুধবার থেকে টানা ঝড়বৃষ্টি হয়ে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। বৃহস্পতিবারও তা বজায় ছিল। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী সোমবার অবধি রয়েছে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্যের ১৮টি জেলায় নেমে এসেছে এই দুর্যোগ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছেন। জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতদের পরিবারগুলি যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ পায়, জেলাগুলিকে তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। কোন জেলায় কত প্রাণহানি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি, ফসলের কত ক্ষতি হয়েছে, তার তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।
রাজ্য প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ১৮টি জেলায় প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়, বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে। তার মধ্যে কাসগঞ্জ এবং ফতেপুরে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই দুই জেলার প্রতিটিতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেরঠ এবং অরাইয়ায় চার জন করে মারা গিয়েছেন। বুলন্দশহর, গৌতমবুদ্ধ নগর, কানপুর নগর, কনৌজ এবং এটায় তিন জন করে মারা গিয়েছেন। দু’জন করে মৃত্যু হয়েছে গাজিয়াবাদ, এটাওয়া, কানপুর দেহাতে। এক জন করে মারা গিয়েছেন ফিরোজাবাদ, আলিগড়, হাথরস এবং আমেথিতে। চিত্রকূট এবং আম্বেদকরনগরেও এক জন করে মারা গিয়েছেন।
এদিকে, মহারাষ্ট্র ও গোয়ার উপকূলবর্তী এলাকাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে গোয়া ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার থেকে রবিবার অবধি একাধিক এলাকায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৩ মে গোয়া, রায়গড় এবং রত্নগিরিতে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুম্বই, ঠাণে, পালঘর, সিন্ধুদুর্গ, পুণে ও সাতারায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত ও দমকা বাতাসের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
২৩ ও ২৪ মে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বইয়ে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, মধ্যপ্রদেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
