আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতি মুহূর্তে খেলার উত্তেজনা দর্শকদের সামনে তুলে ধরাই তাদের কাজ। রোহিত–বিরাটরা ক্রিকেট খেলে পান কোটি কোটি টাকা। কিন্তু জানেন কী ধারাভাষ্যকাররা কত টাকা পান? না জানলে জেনে নিন।
প্রবাদপ্রতিম ধারাভাষ্যকার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত অধিনায়ক রিচি বেনো। তাঁর গলার স্বর শোনার জন্যই বহু দর্শক টিভির সামনে বসে পড়তেন। আরও এক সেরা ধারাভাষ্যকার ছিলেন ইংল্যান্ডের জিওফ্রে বয়কট। তিনিই সৌরভের নাম দিয়েছিলেন, ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’। সুনীল গাভাসকার, রবি শাস্ত্রী থেকে হর্ষ ভোগলে ছাড়াও বিদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও ধারাভাষ্যে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন। এখন জেনে নিন এক জন ধারাভাষ্যকার কত টাকা পান।
গত ২০ বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে স্পনসরের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলিও ধারাভাষ্যকারদের টাকা বাড়িয়েছে। নিয়ম হল সিরিজ অনুযায়ী ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তবে এক্ষেত্রে যেটা দেখা হয় তা হল অভিজ্ঞতা। যার গলার স্বর, বলার ধরণ যত আকর্ষণীয় তার টাকাও তত বেশি।
জানা গেছে, এক জন অভিজ্ঞ ও এলিট তালিকায় থাকা ধারাভাষ্যকার এক দিনে অর্থাৎ ম্যাচ পিছু ভারতীয় টাকায় ৬ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পান। আর এক জন উঠতি ধারাভাষ্যকার পান দিনে অর্থাৎ ম্যাচ পিছু ৩৫ হাজার টাকা।
স্পনসরের অভাব না থাকায় সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি এখন দেশ ছাড়াও বিদেশের নামী ধারাভাষ্যকারদের পিছনেও ছুঁটছে। কোনও টুর্নামেন্টের সম্প্রচারকারী সংস্থাই এই ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে চুক্তি করে। সেদিক থেকে দেখলে এখন ভারতীয়দের মধ্যে চাহিদা সবচেয়ে বেশি রবি শাস্ত্রী, সুনীল গাভাসকারদের। আর হিন্দি কমেন্ট্রিতে জুড়ি মেলা ভার আকাশ চোপড়ার। এমনকী মহিলা ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে মায়ান্তি ল্যাঙ্গার যথেষ্ট জনপ্রিয়।
