আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার থেকেই এই নিধন যজ্ঞ শুরু হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার রাতে লস্কর–ই–তইবা জঙ্গি আদিল হোসেন ঠোকরের অনন্তনাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর বাড়িতে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কিন্তু সেনা সূত্রে খবর, কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার যৌথ অপারেশনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সেই বাড়ি। আবার শুক্রবার সকালে পুলওয়ামায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আদিল শেখের বাড়ি। দু’‌জনেই লস্কর জঙ্গি বলে জানিয়েছে সেনা। পহেলগাঁও হামলায় এই দু’‌জনই জড়িত ছিল বলে দাবি সেনার।


সেনা সূত্রে খবর ছিল, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আদিলের বিজবেহরার বাড়িটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আর ত্রালে আসিফের বাড়িটি শুক্রবার সকালে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।


তারপরেও থেমে থাকেনি সেনা। এবার সোপিয়ান, কুলগাঁও ও পুলওয়ামায় আরও পাঁচ লস্কর জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সোপিয়ানের ছোটিপুরা গ্রামে লস্কর জঙ্গি শাহিদ আহমেদ কুট্টির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন চার বছর ধরেই সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল সে। 


কুলগাঁওয়ের মাতালাম এলাকায় আরেক লস্কর জঙ্গি জাহিদ আহমেদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। 


পুলওয়ামার মুরান এলাকায় আর এক লস্কর জঙ্গি আহসান উল হকের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে আহসান কাশ্মীর ফিরে আসে এবং সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। 


আরেক লস্কর জঙ্গি আহসান আহমেদ শেখের একটি দোতলা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল সে।
অন্যদিকে, পুলওয়ামার কাচ্চিপোড়া এলাকায় লস্কর জঙ্গি হ্যারিস আহমেদের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় সেনা। ২০২৩ থেকে হ্যারিসও উপত্যকায় সক্রিয় ছিল। 
যাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে কাউকে ধরা যায়নি। তবে কুলগাঁওয়ের কাইমো এলাকার ঠোকরপোরা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জঙ্গিদের কাজে তারা সহযোগিতা করেছিল বলে অভিযোগ।