আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইলেকটোরাল বন্ড থেকে নজর ঘোরাতেই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করতে চাইছে বিজেপি। মনে করছেন রাজ্যের বাম ও কংগ্রেস নেতারা। সেই কারণেই লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির এই সিএএ লাগুর প্রচেষ্টা। 
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’‌কে (এসবিআই) স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার ১২ মার্চের মধ্যেই বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য ব্যাঙ্ককে জানাতে হবে। তথ্য জানানোর জন্য এসবিআই সময় চাইলেও তা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ইলেকশন কমিশনকে ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য আপলোড করতে হবে। ব্যাঙ্ক যদি এই নির্দেশ অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। 
কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌সিএএ চালু করার ক্ষেত্রে এই তাড়াহুড়ো থেকে এটা স্পষ্ট, নির্বাচনী বন্ড-এর বিষয় থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে তারা।’‌ রাজ্যের সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবিষয়ে বলেন, ‘‌বিজেপি ভয় পেয়েছে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি অশনি সঙ্কেত দেখছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে হিন্দু ভোট করায়ত্ত্ব করার জন্য তিনি নির্বাচনের আগে সিএএ লাগু করার কথা বলছেন। কিন্তু আমি আরও বড় আশঙ্কা করছি। সুপ্রিম কোর্ট ইলেকটোরাল বা নির্বাচনী বন্ড-এর প্রশ্নে যে অবস্থান নিয়েছে, তাতে নরেন্দ্র মোদির জনগণের সামনে ধরা পড়ে যাওয়ার রাস্তাও পরিষ্কার হয়েছে। যিনি স্যুইস ব্যাঙ্ক থেকে ‘‌কালা ধন’‌ আনবেন বলেছিলেন তিনি দেশের ব্যাঙ্কে কারা কালা টাকা সাদা করল তার তালিকা দিতে পারছেন না এবং না দেওয়ার জন্য বড় রকমের কৌশল অবলম্বন করছেন। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই সিএএ’‌র কথা বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি এতটাই মরিয়া। কিন্তু দেশের জনগণও ফ্যাসিবাদকে দেশ থেকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া। শেষপর্যন্ত হয়তো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করার জন্য নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা জারি বা সংবিধান সংশোধন করে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরের জায়গায় ছয় বা সাত বছর করাতে পারেন।’‌