আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে এন বীরেন সিং–এর পদত্যাগের দুই দিন পরও ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্ব ওই পদের জন্য নতুন নেতার নাম ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। বীরেন সিং–এর পদত্যাগের পর থেকে ইম্ফলে রয়েছেন বিজেপির উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ইনচার্জ সম্বিত পাত্র। মঙ্গলবার তিনি মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় ​​কুমার ভাল্লার সঙ্গে দেখা করেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপালকে অবহিত করেন বিজেপি নেতৃত্ব। 

বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশের কথা জানিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরই বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। ২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্যে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে মণিপুরের পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। কুকি ও মেইতেই সংঘর্ষে ২৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। 

সংবিধানের ৩৫৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ফলে রাজ্য সরকারের সমস্ত কার্যকলাপ কেন্দ্রের কাছে এবং রাজ্য আইনসভার কার্যকলাপ সংসদের কাছে বর্তাবে। শুধুমাত্র উচ্চ আদালতের কার্যকলাপ অপরিবর্তিত থাকবে। রাজ্যপালের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে এই সংবিধানের বিধান অনুসারে রাজ্য সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয় তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।

 কেন এন বীরেন সিং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন? রাজ্যে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় বীরেন সিংয়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিজেপির অন্দরেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরও ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেন না বীরেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত অমিত শাহের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। 

মণিপুরের বিজেপি প্রধান এ শারদা দেবী বলেছেন যে, এন বীরেন সিং রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষা এবং জনকল্যাণের কথা মাথায় রেখে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‌২০১৭ সাল থেকে বীরেন সিং মণিপুরের উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁর পদত্যাগ রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষার প্রতি তাঁর গভীর অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।’‌