মিল্টন সেন, হুগলি:‌ ‌দুর্গাপুজোর মিটিংকে কেন্দ্র করে গোলমালের সূত্রপাত। পুজো কমিটির সদস্য শুভাশিস চন্দর অভিযোগ, ক্লাবের পুজো হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই পুজোতে জোর করে ঢুকতে চায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সেই নিয়ে গোলমাল। পুজোর মিটিং চলার সময় হঠাৎই মারমুখী হয়ে ওঠেন কাউন্সিলর। জুতো হাতে মারতে যায় ক্লাবের সদস্যদের। বাধা দিলে কাপড় ছিঁড়ে পুলিশে অভিযোগ করার হুমকি দেয় পুজো কমিটির সদস্যদের। সোমবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় হুগলি–চুঁচুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রীতা দত্ত হাতে জুতো নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন, জুতো দিয়ে মারছেন। চিৎকার করে হুমকি দিচ্ছেন।






একইসঙ্গে দেখা যায় কাউন্সিলর পরে থাকা কাপড় ছিঁড়ে সদস্যদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এই ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে শোরগোল পরে যায় চুঁচুড়া শহরে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। জানা গেছে হুগলি–চুঁচুড়া পুরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল ওলাইচন্ডীতলা মন্দির রয়েছে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে অজয় সংঘ ক্লাব। ক্লাবের পাশেই রয়েছে মাঠ। সেই মাঠেই হয় অজয় সংঘের দুর্গাপুজো। ওলাইচণ্ডী মন্দিরে প্রতিদিন পুজো হয়। পাশাপাশি দোলের পরের শনিবার বার্ষিক পুজো এবং মেলা বসে মন্দির চত্বরে। মন্দির পরিচালনা করে ট্রাস্টি বোর্ড। দুর্গাপুজোর আয়োজন করে অজয় সংঘ ক্লাবের পুজো কমিটি। আবার ক্লাবের সদস্যরাই ট্রাস্টি ও পুজো কমিটিতে রয়েছেন। প্রত্যেক বছর ওলাইচন্ডি মন্দির ট্রাস্টি থেকে ৫০ হাজার টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে দেয় প্রতিমা কেনার জন্য। সেই টাকা কেন দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাউন্সিলর রীতা দত্তর স্বামী স্বপন দত্ত।




কাউন্সিলরের অভিযোগ, মন্দিরের উন্নতিকল্পে সাধারণ মানুষের দানের টাকা দুর্গাপুজো কমিটিকে কেন দেওয়া হবে? তাঁর স্বামী এবং ছেলে এই প্রশ্ন তুলতেই তাকে মারতে উদ্যত হয় কমিটির লোকজন। তাই তিনি সেখানে গিয়ে জুতো দেখিয়েছেন। পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, দুর্গাপুজো কমিটির ছেলেরাই মন্দিরের সব কাজ করে থাকে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে। মন্দির এবং পুজো দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কমিটিও সম্পূর্ণ আলাদা। কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন দত্ত পুজো কমিটিতে ঢুকতে চায়, তাই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। ঘটনার পর দু’‌পক্ষই পুলিশের দারস্থ হয়েছে।