সংবাদ সংস্থা মুম্বই: নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মনের দরজা আপাতত বন্ধ রেখেছেন সামান্থা, এমনটাই জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। বর্তমানে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন নাগা। এবার পাত্রী শোভিতা ধূলিপালা। এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সামান্থা। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, অভিনেত্রী মুখ খুললেন নাগার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের পর কোন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে। কোন ধরনের কটু কথা, বিরূপ মন্তব্য তাঁর উদ্দেশ্য ধেয়ে এসেছে। আর তিনিই বা এইমুহূর্তে কেমন আছেন? জীবনের প্রতি তাঁর কী মনোভাব?


 অভিনেত্রীর মতে, আজও কোনও দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হলে সেই দু'জন মানুষের মধ্যে মেয়েটিকে নানা লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি যেমন হতে হয়, তেমনই নানা কটুক্তির শিকার হতে হয়। সামান্থার কথায়, "বিবাহবিচ্ছেদের পর আমাকে শুনতে হয়েছে, আমি নাকি 'সেকেন্ড হ্যান্ড' হয়ে গিয়েছি।  আমাকে বলা হয়েছে, 'ব্যবহৃত জিনিস'ও। এও শুনেছি, বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে মানে আমার জীবন শেষ। আসলে, বিবাহবিচ্ছেদের পর মেয়েদের তাকে এমনভাবে কোণঠাসা করিয়ে তার উপর এই ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে বিয়ে ভেঙে গিয়েছে মানে তার জীবন ব্যর্থ। এবং সে একজন পুরোপুরি ব্যর্থ মানুষ! আমি নিজের অবস্থার প্রেক্ষিতে বুঝি বিবাহবিচ্ছেদের পর আর পাঁচজন সাধারণ মেয়ে ও তাদের পরিবারের উপর কী ঝড় যায়।"

 

ওই সাক্ষাৎকারে সামান্থা আরও বলেন যে বিচ্ছেদের পর তাঁর জীবন খুব একটা সহজ পথে এগোয়নি। নানান সমস্যা হয়েছে, এত গুজব রটেছে তাঁকে ঘিরে যে একেকসময় তাঁর চিৎকার করে বলতে ইচ্ছেও হয়েছে অমুকটা মিথ্যা, ব্যাপারটা অন্য ছিল... কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন তিনি। মেনে নিয়েছিলেন জীবনে যা হয়েছে এবং সেখান থেকে নতুন ইনিংস খেলা শুরু করেছেন জীবনের। তাই তো বিয়ের গাউনটিকে নতুন করে সাজিয়েছেন সামান্থা। 

 

'সিটাডেল:হানি বানি'র নায়িকার কথায়, "আমি এখন দারুণ আছি। খুব সুন্দর জীবন কাটাচ্ছি। বিচ্ছেদ আমাকে আরও পরিণত করেছে একজন মানুষ হিসাবে। দুরন্ত সব কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। এবং সবথেকে বড় কথা, জীবনের পরবর্তী পর্যায় কেমন হবে তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।"

 

প্রসঙ্গত, ৪ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালা। আক্কেনেনি পরিবারের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে বসবে তাঁদের বিয়ের আসর। তবে এই সমস্ত কিছু নিয়ে একেবারে মুখে কুপুল এঁটেছেন নাগা-শোভিতা। সূত্রের খবর, নাগা চৈতন্য ঠিক করেছেন ঠাকুরদার আশীর্বাদ নিয়েই নতুন জীবন শুরু করবেন। এই স্টুডিওর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের অনেক স্মৃতি। সেই কারণেই নাকি এখানেই বিয়ের আসর বসাবে নাগা চৈতন্য ও শোভিতা ধুলিপালার।