আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। পারদ যখন প্রায় প্রতিদিনই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই, তখন শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখা এবং পর্যাপ্ত জলের জোগান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই সময়ে শুধুমাত্র সাধারণ জলের উপর ভরসা না করে, এমন কিছু পানীয় খাদ্যতালিকায় যোগ করা উচিত যা শরীরকে শীতল করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায়। এমনই দুটি অসাধারণ দেশীয় পানীয় হল বেলের শরবত ও কাঁচা আমের শরবত বা আম পানা।
বেল, গ্রীষ্মের এক অসাধারণ ফল। এর শরবত কেবল তৃষ্ণা মেটায় না, এর একাধিক স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। পাকা বেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, বি-কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হজমশক্তি বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বেলের শরবত অন্ত্রের সমস্যা কমাতেও কার্যকর।
প্রস্তুতি: একটি মাঝারি পাকা বেল ফাটিয়ে শাঁস বের করে নিন। প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ঘণ্টাখানেক ভিজিয়ে রাখুন। এরপর হাত দিয়ে ভাল করে চটকে বীজ ও আঁশ ফেলে ছেঁকে নিন। স্বাদমতো চিনি বা তালমিছরি এবং সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তৈরি বেলের সুস্বাদু শরবত। অনেকে এর সঙ্গে সামান্য বিট নুনও যোগ করেন।
অন্যদিকে, কাঁচা আম এই মরশুমের আর এক আশীর্বাদ। কাঁচা আমের শরবত শরীরকে লু লাগা থেকে বাঁচায় এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রস্তুতি: কয়েকটি কাঁচা আম সেদ্ধ করে বা পুড়িয়ে ঠান্ডা করে খোসা ও আঁটি ফেলে শাঁস বের করে নিন। সেই শাঁসের সঙ্গে পরিমাণ মতো ঠান্ডা জল, চিনি, বিট নুন, ভাজা জিরের গুঁড়ো এবং ইচ্ছে হলে সামান্য কাঁচালঙ্কা বা পুদিনা পাতা বাটা মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল শরবত।
এই দুটি পানীয়ই কৃত্রিম ঠান্ডা পানীয়ের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। এই গরমে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এদের রাখলে শরীর সতেজ ও সুস্থ থাকবে।
