আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করেও অনেকেই মোটা হয়ে যান। কিন্তু কেন এমন হয়, যার জন্য আচমকা মোটা হয়ে যাচ্ছেন ? রয়েছে বিভিন্ন কারণ। কোন ভুলে ওজন বেড়ে যেতে পারে সেই বিষয়ে অনেক সময়ই আমরা ওয়াকিবহাল থাকি না। কম খাবেন না, স্বাস্থ্যকর খান। তবেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে ও সুস্থ থাকাও সম্ভব। কিন্তু শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ওজনকে বশে রাখতে পারবেন না। এই কয়েকটি খুব সাধারণ ঘরোয়া উপকরণ দিয়েই তৈরি করে নিন কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা আপনার ওজনকে বশে রাখবে। জানুন কীভাবে বানাবেন।

এক চামচ জোয়ান দু'কাপ জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে জল সমেত জোয়ান ভাল করে ফুটিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট কম আঁচে ফোটান। অল্প ঠান্ডা হতে দিন।ছেঁকে নিন। ঈষদুষ্ণ জোয়ানের জল খালি পেটে খেলে ফল ভাল পাবেন।

এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে একটি অর্ধেক লেবুর রস নিংড়ে নিন। সঙ্গে দিন এক চামচ আদার রস। সকালে খালি পেটে খান এই পানীয়।

এক গ্লাস জলে হাফ চামচ মৌরি ও সাত আটটি পুদিনাপাতা দিন। সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে খান এই পানীয়।

সসপ্যানে দু'কাপ জল দিন। গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে হাফ চামচ গোটা জিরে দিন। জল ফুটে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। উষ্ণ গরম হয়ে গেলে খালি পেটে খান।

দু'টি দারচিনির কাঠি ও দু'কাপ জল সসপ্যানে ফুটতে দিন। কম আঁচে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠান্ডা হলে সামান্য মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন।

শরীরে জমা হওয়া টক্সিন বা বের করতে সাহায্য করে জোয়ানের জল। এর ফলে শরীর থাকে ঝরঝরে। টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে ওজনও কমাতে সাহায্য করে।
মেটাবিলজ়ম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করাই নয়, আদার জল গা-বমি ভাব কমায়, পেট ফাঁপা বা পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে লেবু জল, সব সময় খাবার খাওয়ার আগে অথবা খালি পেটে খেলেই ভাল। পেটের মেদ কমাতে এবং সর্বোপরি ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে খালি পেটে লেবু জল খান।
জিরের জলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। হজমের সমস্যা থাকলে জিরের জল উপকারী, সর্বোপরি পেট ঠিক থাকলে, তার প্রভাব পড়ে আপনার বিপাক হারের উপর। মেটাবোলিজম ঠিক থাকলে ওজন স্বাভাবিক ভাবেই বশে থাকবে।
যে কোনও খাবার যা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। দারচিনি শরীরের বিপাকের হার বৃদ্ধি করে। এছাড়া হজম ক্ষমতা ভাল রাখতেও সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এমনকি, দারচিনিতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও রয়েছে। যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি শরীরকে টক্সিন ফ্রি রাখতে সাহায্য করে যা পরোক্ষে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর।