দুর্গাপুজোয় সকলের মাঝে মধ্যমণি হয়ে উঠতে কে না চান! তাই তো পুজোর সময়ে দামি ফেসিয়াল থেকে প্রসাধনী, ত্বকের নানা পরিচর্যায় ঝোঁক বাড়ে। পকেটে যতই টান পড়ুক, উৎসবের মরশুমে নজরকাড়া হয়ে উঠতে চান কম-বেশি সকলেই। অনেক সময় দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও কোনও লাভই হয় না। কারওর পিছু ছাড়ে না ব্রণ, কারওর আবার উঁকি মারে বলিরেখা, ত্বকের উজ্জ্বলতা। আর তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘরোয়া টোটকা। রান্নাঘরের কয়েকটি উপাদান ত্বকের হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনতে সিদ্ধহস্ত।
উপকরণঃ ১ চামচ কফি পাউডার, ১/২ চা চামচ বেসন, ১/২ চামচ টক দই এবং এক চামটে হলুদ।
কীভাবে প্যাক বানাবেন: দই, কফি পাউডার, বেসন এবং হলুদ একসঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মুখ ও ঘাড়ে ওই পেস্ট লাগিয়ে নিন। ৫ মিনিট ধরে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। একবার এই ঘরোয়া প্যাক দিয়ে মুখ ধুলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। রোজ এই টোটকা ব্যবহার করলে হাতেনাতে ভাল ফল পাবেন।
আরও পড়ুনঃ এবার পছন্দের স্বপ্ন দেখতে পাবেন সিনেমার মতো! স্বপ্নের রেকর্ডিং-এর অভিনব যন্ত্র আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
আসলে এই প্যাকের সমস্ত উপকরণই ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যেমন কফিতে রয়েছে, দুর্দন্ত এক্সফোলিয়েটর। কফি ত্বকের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে যা ব্রণ, র্যাশের সমস্যা কমায়। কফিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। কফির ফেস প্যাক ব্যবহার করলে মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূর হয়। ফলে ত্বক আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখায়। সব ধরনের ত্বকের জন্যই কফির ফেস প্যাক ব্যবহার করা যায়। ত্বকের বলিরেখা মলিন করে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে কফি।
এক ফোঁটা বেসন মুখে মেখে নিতেই পারেন। তাতেই ত্বকের জেল্লা বাড়ত দ্বিগুণ হারে। তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা স্পর্শকাতর- ত্বক যেমনই হোক না কেন বেসন ত্বকের কোনও ক্ষতি না করেই মৃত কোষ দূর করে। এটি ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করে বেসন। নিয়মিত বেসন মাখলে ব্রণ বা মেচেতার দাগ থাকলেও ধীরে ধীরে তা মিলিয়ে যায়।

চট করে ত্বকে জেল্লা ফেরাতে কিংবা ত্বক থেকে রোদে পোড়া কালচে দাগছোপ তোলার ঘরোয়া টোটকা হিসাবে টক দই ব্যবহার করেন অনেকে। এই টোটকা নতুন নয়। শুষ্ক বা স্পর্শকাতর ত্বকে সাধারণত মোটা, শক্ত দানাযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করা যায় না। তাই তার পরিবর্তে দই মুখে মাখতে পারেন। বেসন ত্বককে মৃতকোষ মুক্ত করতে সাহায্য করে। দই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাথে।
হলুদ ব্রণ, ফুশকুড়ি দূরে রাখে, ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। হলুদে কারকিউমিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের লালচেভাব, ফোলাভাব এবংপ্রদাহ কমাতে খুব কার্যকর। ব্রণের সমস্যা, রোদে পোড়া ত্বক বা অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ দূর করতে হলুদ খুবই কার্যকরী। হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। কাটা বা ছোটখাটো ক্ষতের চিকিৎসার জন্যও হলুদ ব্যবহার করা হয়।
