আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত পেট ভরাতে যথেষ্ঠ। কিন্তু এই ভাতের সঙ্গে ত্বকের যত্নের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে জানেন কি?
গরমের দাপট কমে ধীর গতিতে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে।মুখের ত্বক, হাত-পা ধীরে ধীরে খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায় এই সময়ে। তাই শীত আসার অপেক্ষায় না থেকে আগেই শুরু করুন ত্বকের পরিচর্যা। ঠান্ডা পড়লেও ত্বক শুষ্ক হবে না।
বাজারচলতি বিভিন্ন নামিদামী কোম্পানির ফেস সিরাম ব্যবহার করার চল শুরু হবে কিছুদিন পর থেকে। চিন্তার বিষয় হল, তাতে মেশানো হয় নানারকম রাসায়নিক। তাই আপনি যদি একান্তই কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত উপাদান ত্বকে ব্যবহার না করতে চান, তাহলে ভরসা করতে হবে ঘরোয়া ফেস সিরামের উপরই। ত্বকের যত্নের জন্য রোজ হাতের কাছে এমন কিছু টোটকা রয়েছে যা করতে বিন্দুমাত্র পরিশ্রম করতে হবে না। আপনার বাড়িতে ভাত রান্না হলেই পেয়ে যাবেন সেই টোটকা।
ভাল মানের চালের ভাত রান্না করে নিন। সেখান থেকে খানিকটা তুলে সরিয়ে রাখুন। একটি বাটিতে খানিকটা ভাত নিন।তিন থেকে চার চামচ গোলাপ জল দিয়ে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন ভেজানো ভাতের উপকরণটি। একটি পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ঢেলে ছেঁকে নিন। একে একে সেই মিশ্রণে এক চামচ গ্লিসারিন, দু'চামচ অ্যালোভেরা জেল ও দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি কাঁচের স্প্রে জারে ঢেলে রাখুন। এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখতে পারবেন। ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে মাখুন এই রাইস সিরাম।
মুখের ত্বককে প্রানবন্ত ও আঁটোসাঁটো করে এই সিরাম। বয়সের ছাপ খুব সহজেই পড়তে দেয় না।
ভাতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ফেরুলিক অ্যাসিডের মতো উপাদান, এটি ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
