আজকাল ওয়েবডেস্কঃ রোজের এক থালা ভালবাসা হোক বা রকমারি সুস্বাদু তেলে ভাজার পদকে মুখরোচক করা হোক, চালের গুণাবলী প্রচুর। চালের গুঁড়োর গুণে ত্বকও উজ্জ্বল হতে পারে। চালের গুঁড়ি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, কালচে ছোপ দূর করে,ত্বক টানটান ও ঝকঝকে করে তোলে। ঘরোয়া কয়েকটি উপকরণ এর সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত ফল। চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি রকমারি ফেসপ্যাকের যে কোনও একটি ব্যবহার করলেই, খরচ করে আর নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহারের দরকার পড়বে না। তবে, সে ক্ষেত্রে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মুচমুচে তেলেভাজার লোভ খানিক ত্যাগ করতে হবে কিন্তু। কারণ ভাজাভুজি বেশি খেলে শরীর থেকে ত্বক কোনওটিই ভাল থাকে না।
জেনে নিন চালের এই ঘরোয়া ফেসপ্যাক কীভাবে কাজে আসবে।
এক কাপ চালকে সারারাত বা ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এবার জল থেকে তুলে শুকনো কাপড়ে ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। শুকনো চাল ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন এই চালের গুঁড়ো। স্নানের আগে একটি পাত্রে এক চামচ চালের গুঁড়ো, এক চামচ করে গ্লিসারিন, আমন্ড অয়েল ও গোলাপ জল নিন। আমন্ড তেলের পরিবর্তে আপনি নারকেল তেলও দিতে পারেন। ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে মুখ ভাল করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বকে এই শীতে একটিও ভাঁজ পড়বে না।
চালের গুঁড়ো প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি নিয়মিত চালের গুঁড়ো মুখে লাগান, তাহলে ত্বকের মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে ত্বকের ভিতরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। অক্সিজেন সরবরাহও পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। তাই সাময়িক ভাবে জেল্লা বৃদ্ধি হয়। আপনারও মনে হয় যে, ফেসপ্যাক লাগানোর কারণেই আপনার ত্বক চকচক করছে। চালের গুঁড়োর টপিকাল অ্যাপ্লিকেশনে বেশ উপকার মিলতে পারে। ত্বকের অন্দরে জমে থাকা টক্সিনকে বের করে দিতে পারে এটির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ। একইসঙ্গে ত্বকের জেল্লাও বাড়াতে পারে।
এটির অ্যান্টিএজিং গুণ ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এমনকী সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
