আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শ্যামলা ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয় অনেক দেরিতে।কিন্তু ব্রণ বা রোদের কারণে সানবার্ন হয় তাড়াতাড়ি।একটু উজ্জ্বল ত্বকের স্বপ্ন প্রত্যেকেই দেখে। বেশি জল খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম মেনে ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং করলেও গায়ের শ্যামলা রং খুব সহজেই ফর্সা বা উজ্জ্বল হয় না।কারণ, এই ধরনের ত্বকে আর্দ্রতায় ঘাটতি পড়লে তা খুব তাড়াতাড়ি বোঝা যায়।ত্বকে সাদা সাদা দাগ পড়ে সে ক্ষেত্রে।

শ্যামলা ত্বকের পরিচর্চায় ঘরোয়া নানা জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে হলুদ ও মধুর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।ত্বক চকচকে করে হলুদ ব্যবহার করলে।বাজার চলতি ফরসা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করবেন না। তার বদলে ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া উবতান।

এক চামচ হলুদগুঁড়োকে ফ্রাইপ্যানে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন।ভাল মত ভাজা হলে হলুদের রং কফির মতো বাদামী রঙের হয়ে যায়।ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন।ঠান্ডা হয়ে গেলে হলুদের সঙ্গে দু'চামচ মধু দিয়ে দিন।ভাল মতো মিশিয়ে মুখে মাখুন।চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতেও মোক্ষম দাওয়াই এই পদ্ধতি।

পাঁচ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যামলা রঙের কেও টানা সাতদিন এই ঘরোয়া হলুদের প্যাক ব্যবহার করলে তার গায়ের রং উজ্জল হবেই।

হলুদে আছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান।যা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।কিন্তু অনেকেই মনে করেন ত্বকচর্চার ক্ষেত্রে শুধু কাঁচা হলুদ ব্যবহার করাই ভাল।কিন্তু ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে কাঁচা হলুদ হাতের কাছে মজুত না থাকলেও, গুঁড়ো হলুদ দিয়েও কিন্তু একই ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করা যেতে পারে।

ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে মধু।এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান।বহু ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও রয়েছে এতে।সব মিলে ত্বক থেকে জীবাণু দূর করে আবার ত্বক আর্দ্রও রাখে।প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকে পুষ্টি জোগায়।তাতে ত্বক মসৃণ ও টানটান থাকে।দাগছোপ কম পড়ে ফলে ত্বকে বার্ধক্য আসে দেরিতে।