আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কোঁকড়া চুলের বদলে এখন অনেকেই সোজা চুল পছন্দ করেন। তাই হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ের দিকে ঝোঁক বেশি এই প্রজন্মের। এদিকে পার্লারে গিয়ে কেরাটিন, স্মুদনিং, স্ট্রেটনিং করিয়ে চুল সাময়িকভাবে সোজা হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান সম্বৃদ্ধ ক্রিম চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সঙ্গে খরচ সাপেক্ষও বটে। এরপর সব সময় যে চুল ঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হয় এমন নয়। অতিরিক্ত কেমিক্যাল চুলে লাগানোর ফলে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যায়। একসময় তা মারাত্মক চুল পড়ার পর্যায়ে চলে যায়। ঘরে বসেই অত্যন্ত কম খরচে এই ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে সহজেই করতে পারবেন হেয়ার স্ট্রেটনিং। কীভাবে করবেন জেনে নিন। 

একটি পাত্রে দু'চামচ টকদই নিন। সঙ্গে একটি ডিম, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ও অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে দিন। খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিন।  
সপ্তাহে দু'দিন এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল ফল পাবেন। স্নানের আগে চুলের স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন এই মাস্ক। আধঘন্টা অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।  এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। আপনার কোঁকড়ানো ও রুক্ষ চুল রাতারাতি বদলে যাবে। লম্বা ও মসৃণ চুল পেতে এই মাস্কের তুলনা নেই। 

খুশকির সমস্যা কমিয়ে দিয়ে, স্ক্যাল্পের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে টক দই। পাশাপাশি কমায় চুল পড়ার সমস্যা। খুশকি, চুল পড়া, দু'মুখো চুল, শুষ্ক চুল—এসব সমস্যা লেগেই থাকে। আর চুলের এই হাজারো সমস্যার সমাধান টক দই একাই করতে পারে। চুলে টক দই মাখলে দুর্দান্ত উপকারিতা মেলে। আবার ডিমে থাকা প্রোটিন, চুলকে নরম ও সিল্কি করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে ডিম অপরিহার্য। চুল পড়া, স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করার মতো একাধিক সমস্যার সমাধান রয়েছে ডিমের কাছে। এমনকি স্ট্রেট করা চুলের যত্ন নেয় ডিম। অ্যালোভেরা জেলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ স্ক্যাল্পের ভিতরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা কমে। এতে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে, যা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হেয়ার ফলিকলগুলি সুরক্ষিত থাকে, সহজে চুল পড়ে যায় না। এমনকী চুলের উপরে আর্দ্রতার মাত্রাও অটুট রাখে। আর চুল পড়া কমাতেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে এই প্রাকৃতিক উপাদান।