আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীত ইতিমধ্যেই জোরদার ইনিংস শুরু করেছে। ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, চামড়া কুঁচকে যাওয়া, ত্বকের খসখসে ভাব- ত্বকের সব লক্ষণই জানান দিচ্ছে তার প্রমাণ। আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে ভাল বোঝা যায় ত্বকে। তাই শীতে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। কমলালেবুর খোসা এইভাবে ব্যবহার করলে আপনার সব সমস্যার সমাধান হবে নিমেষেই।
একটি গোটা কমলালেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। খোসাগুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। প্যানে এক
কাপ দুধ দিন। ফুটতে শুরু করলে খোসাগুলো দিয়ে দিন। ভাল করে ফুটিয়ে দুধ শুকিয়ে গেলে ও থকথকে পেষ্টের আকারে এসে গেলে নামিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন মিশ্রণটি। আলাদা প্যানে দু'চামচ করে বেসন ও কস্তুরী হলুদ দিন। গরম প্যানে নাড়াচাড়া করুন। একটি কাচের বাটিতে দু'চামচ করে ব্লেন্ড করে রাখা দুধ ও কমলালেবুর খোসার পেষ্ট দিন। এর উপর কস্তুরী হলুদ ও বেসনের গুঁড়ো দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন এক চামচ করে অলিভ অয়েল ও গোলাপ জল। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখ ও হাত পায়ের ট্যানের উপর লাগিয়ে রাখুন এই পেষ্ট। শুকিয়ে গেলে ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
কমলালেবুর খোসা একেবারেই অকেজো নয় বরং অবিশ্বাস্য গুণ আছে এই ফলের খোসায়। কারণ এতে ভরে ভরে রয়েছে ভিটামিন সি, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিড। কস্তুরি হলুদ ব্রণ দূর করে, ট্যান দূর করে এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমিয়ে দেয়। কস্তুরি হলুদের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যদি নিয়মিত কস্তুরি হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন, তাহলে ত্বকের যাবতীয় দাগছোপ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।দুধের সরে থাকে ফ্যাট ও প্রোটিন। এই সর ত্বককে হাইড্রেট ও ময়েশ্চারাইজ করে ত্বককে কোমল রাখে। তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখে দুধের সর লাগাতে পারেন।
