আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ শুধু শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখাই নয়, ত্বক এবং চুলের পরিচর্যাতেও ব্যবহার করা হয় আমলকি।হাজারো রোগের মহৌষধ এই ফল।বিশেষ করে ত্বকের যত্নে দারুণভাবে কাজ করে এটি। তবে শুধু আমলকি দিলে হবে না।বরং ঘরোয়া পদ্ধতিতে রান্নাঘরের টুকটাক জিনিস দিয়ে একে আরও উপকারি ও সুস্বাদু বানানোর চেষ্টা করে দেখুন।ত্বক মসৃণ হওয়ার পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য রোগও পালাবে নিমেষে।

কিছু আমলকিকে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।টুকরো করে কেটে একটি কাচের এয়ারটাইট জারে রাখুন।দু'চামচ মধু ও এক চামচ গোলমরিচেরগুঁড়ো দিতে হবে।গোলমরিচেরগুঁড়ো সব ধরণের স্বাস্থ্যকর উপাদানকে শোষণ করতে সাহায্য করে।

 ডায়বেটিক রোগীরা মধুর বদলে ব্যবহার করুন সামান্য লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো ও নুন।
উপকরণগুলো মিশিয়ে নিয়ে জারে রাখুন প্রায় ১৫ দিন রাখতে পারেন।তৈরি হয়ে গেলে সেদিনই না খেয়ে একদিন পর থেকে খান। মশলাগুলো কিছুটা শোষণ করতে দিন।সারাদিনে দু'বার থেকে তিনবার আমলকির এই চটপটি রেসিপি খান। ত্বকের পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।
আমলকিতে প্রাকৃতিক যে পরিমাণ ভিটামিন সি,  অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে তা খুব কম ফলেই রয়েছে।অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই ফল ফ্রি র‌্যাডিকাল থেকে ত্বকে যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস পড়ে, তা থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে সাহায্য করে। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তাছাড়া আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকে অবাঞ্ছিত দাগছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।তবে আমলকি খেতে শুরু করলেই এক দিনে ম্যাজিকের মতো দাগ উধাও হয়ে যাবে না। ধীরে ধীরে মুখের পিগমেন্টেশন মেলাতে শুরু করবে।
স্বাস্থ্য ছাড়াও আমলকি আমাদের চুলের জন্যও খুবই উপকারী। কালো, লম্বা এবং ঘন চুল পেতে এটিকে রুটিনের একটি অংশ করে নিতে পারেন।এটিতে অনেক পুষ্টি রয়েছে যা চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে।চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এটি চুলের অকাল পাকা হওয়াকেও রোধ করে।