আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ ত্বক এবং চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার উপর ভরসা করেন প্রায় সকলেই। শুষ্ক, প্রানহীন ত্বক, ত্বকের কালচে ভাব, ধুলো ময়লা, রোদে ঘুরে মুখের ট্যান পড়লে এই অ্যালোভেরার ব্যবহারই রক্ষা করে। তবে দোকান থেকে কেনা সুগন্ধি ও কেমিক্যাল দেওয়া জেল ব্যবহার করতে চান না অনেকেই। এই জেল দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করতে সামান্য হলেও রাসায়নিক ব্যবহার করে বিভিন্ন সংস্থা। রূপচর্চার জন্য তাই বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ বাড়ির এক কোণে অযত্নে বেড়ে ওঠে। এই গাছের পাতা থেকেও কিন্তু এই জেল তৈরি করা যায়।
সেই জেলের সঙ্গে ঘরে হাতের কাছেই থাকা সামান্য কিছু জিনিস দিয়ে দু'ভাগে ফেসিয়াল করলে আপনার ত্বকের ধুলো ময়লা উঠে চকচকে হয়ে যায়। জানুন কীভাবে করবেন এই অ্যালোভেরা ফেসিয়াল।
একটি গোটা অ্যালোভেরার পাতাকে দু'ভাগে ভাগ করে কেটে নিন। একটি পাতার টুকরোতে চামচ দিয়ে কেটে ফাঁকা জায়গা তৈরি করে নিন। মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এক চামচ করে চালেরগুঁড়ো ও মধু দিন। পাঁচ মিনিট ধরে হালকা ভাবে ঘষে ম্যাসাজ করুন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখের মৃত কোষ ও ব্ল্যাকহেডস দূর হয়ে রং ফর্সা ও মসৃন হবে।
পরের ভাগে অপর অ্যালোভেরা জেলের টুকরোকেও একইভাবে চামচে করে কেটে নিন। এক চামচ করে কফি পাউডার ও কাঁচা দুধ দিন। সঙ্গে দিন হাফ চামচ হলুদগুঁড়ো। ভাল মতো ম্যাসাজ করুন। পনেরো মিনিট রেখে দিন । শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের সমস্ত পিগমেন্টেশন দূর করে রং হবে উজ্জ্বল ও মসৃন।
চালেরগুঁড়ো তৈলাক্ত এবং ব্রণ হয় এমন ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ চালেরগুঁড়ো ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এছাড়াও এতে আছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আবার কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও আছে। যা ক্ষতিকারক ফ্রি ব়্যাডিকালস বাড়তে দেয় না। আপনার ত্বককে দূষণ, ধোঁয়া ও রোদের হাত থেকে বাঁচায়।
