ঘুরতে গেলে বদলে যায় চেনা জীবনযাপনের ছন্দ। একটানা বাইরের খাবার, ট্রাভেল, শরীরচর্চার অভাব-সবমিলিয়ে নিম্নমুখী হতে থাকে ফিটনেস। বাড়তে থাকে ওজনের কাঁটা। আর ছুটি শেষ হতেই সেই বাড়তি ওজন কমাতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায়। তবে খানিকটা সচেতন হলেই কিন্তু ট্রিপের সময়েও ফিট থাকা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেড়ানো মানেই অস্বাস্থ্যকর জীবন নয়,কিছু সহজ অভ্যাস সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ঘুরতে গিয়ে দিনের শুরুটা ঠিক থাকা সবচেয়ে জরুরি। তাই সকালে এমন কিছু খেতে হবে যা প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর। যার জন্য থেকে পারেন দইয়ের সঙ্গে বেরি, অ্যাভোকাডো ও ডিম কটেজ চিজের সঙ্গে চিয়া সিডের মতো খাবার। এগুলো শরীরকে দীর্ঘ সময় এনার্জি দেয়, খিদে কমায় এবং দিনের বাকি সময়ে ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বেড়ানোর মাঝেও প্রতিদিন ৩০ মিনিটের শারীরিক কার্যকলাপ রাখা জরুরি। ঘুরতে গিয়ে হাঁটাহাঁটি বন্ধ করলে চলবে না। নতুন জায়গাকে ঘুরে দেখার সেরা উপায়ও এটি। শুধু এই হাঁটার রুটিন মেনে ওজন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
অ্যালকোহল ও ভারী কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলাই ভাল। দিনে এক-দুটো পানীয় পান করলেও বাকি খাবার যেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়। মিষ্টি খেতে চাইলে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়া কিংবা কম কার্ব-সমৃদ্ধ কোনও ডেজার্ট বেছে নিন। ঘুরতে গেলে অনেক সময়ে জলশূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। সবসময় জলের বোতল সঙ্গে রাখুন। নিয়মিত জলপান ফিট থাকার অন্যতম শর্ত।
ভ্রমণের ব্যাগে কিছু জিনিস রাখতে পারেন। যেমন হালকা স্নিকার্স, জিম পোশাক, প্রোটিন বার বা প্রোটিন পাউডার। সময় পেলেই হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আবার একটানা ট্রাভেলের মাঝে খিদে পেলেও খাওয়ার সমস্যাতেও পড়বেন না।
মনে রাখবেন, ঘুরতে যাওয়া মানে কিন্তু রুটিন ভেঙে ফেলা নয়। বরং সামান্য সচেতনতা ও পরিকল্পনা থাকলে ট্রিপ, আনন্দ আর ফিটনেস- এই তিনকেই একসঙ্গে সামলানো সম্ভব।
