বাড়ির যত্রতত্র কিংবা চিরুনিতে নয়, চুল থাকুক মাথায়। আধুনিক জীবনে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। যা আরও বেড়ে যায় বর্ষাকালে। বৃষ্টিভেজা চুল মুঠো মুঠো ঝরতে শুরু করে। শুধু চুল পড়া নয়, বৃষ্টির মরশুমে চুলের কিছু না কিছু সমস্যা লেগেই থাকে। আট থেকে আশি, আজকাল এই সমস্যায় ভুক্তভোগী কম-বেশি সকলেই। বর্ষাকালে আর্দ্রতা, ছত্রাক সংক্রমণ, অতিরিক্ত তেল জমা ও পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে সহজে ঝরতে থাকে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় দামি পার্লার ট্রিটমেন্ট বা কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট নয়, বরং রান্নাঘরে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই সমাধান পাওয়া সম্ভব। 

১. অ্যালোভেরা ও নারকেল তেলের প্যাকঃ টাটকা অ্যালোভেরা জেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ৩০–৪৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে চুল মজবুত হয় ও খুশকি কমে।

আরও পড়ুনঃ আইস ওয়াটার ফেসিয়াল থেকে ফেস টেপিং, সমাজ মাধ্যমে জনপ্রিয় রূপচর্চার হরেক ট্রেন্ড! আদৌ এগুলো নিরাপদ তো?


২. মেথি ও দই মাস্কঃ রাতে ভিজিয়ে রাখা মেথি বীজ পেস্ট করে তাতে দই মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগান। এতে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে।
৩. পেঁয়াজেকর রস ও মধুর প্যাকঃ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ২০–৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং খুব দ্রুত চুল গজায়। 
৪. আমলা ও শিকাকাই মাস্কঃ আমলা ও শিকাকাই গুঁড়া পেস্ট করে স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। ভিটামিন সি ও প্রাকৃতিক ক্লিনজারের উপকার পাবেন যা চুলের বৃদ্ধি ও পরিষ্কার রাখায় সহায়ক।


৫. কলা ও অলিভ অয়েল মাস্কঃ পাকা কলা ও অলিভ অয়েলও চুলের জন্য খুব উপকারী। এই প্যাক চুলে লাগালে শুষ্কতা দূর হয় ও চুলকে নরম, মসৃণ করে। 
৬. জবা ফুল ও কারি পাতা মাস্কঃ জবা ফুল ও কারি পাতা পেস্ট করে লাগালে চুলের ফলিকল পুষ্টি পায় এবং অকালপক্বতা কমে।
৭. ডিম ও ক্যাস্টর অয়েল মাস্কঃ ডিম ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে লাগালে চুলে প্রোটিনের জোগান মেলে এবং চুল ঘন ও মজবুত হয়।
প্রতিটি মাস্ক সপ্তাহে ১–২ বার ব্যবহার করতে হবে। চুল পরিষ্কার ও হালকা ভেজা অবস্থায় লাগালে ভাল ফল পাবেন। প্যাকগুলো লাগানোর পর শেষে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ঝলমলে চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত জল পান ও অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলা উচিত।