আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কথায় বলে, পেট ভাল থাকলে সব ভাল থাকে। পেটের সমস্যায় ভুগলে আরও অনেক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। তালিকায় রয়েছে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, অরুচি, ডায়ারিয়া। তবে এই সবের মধ্যে সারা বছরই অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ইদানীং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক, শরীরচর্চার অভাব সহ আরও অনেক কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। পাকস্থলী, অন্ত্রে খাবার শোষিত হয়ে তা মলদ্বারের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কয়েকটি ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। 

১. কিউইঃ কিউইতে অ্যাক্টিনিডিন নামক একটি উৎসেচক রয়েছে যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, বিশেষ করে দুগ্ধজাত দ্রব্য, ডিম এবং মাছের মতো খাবার হজমে সহায়ক। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।

২. ড্রাগন ফলঃ ফাইবার এবং প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে এবং অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর  ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে। এটি ভিটামিন সি, বিটালাইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় বদহজমের সমস্যা কমায়। 

৩. বেরিঃ বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফ্ল্যাভোনলের মতো যৌগ থাকে যা হজমকারী উৎসেচকের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এগুলি উপকারী অন্ত্রের জীবাণুও ঠিক রাখে। একইসঙ্গে আলসার এবং কোলনের সমস্যার ঝুঁকি কমায়। 

৪. ডুমুরঃ ডুমুরের মধ্যে ফাইবার এবং প্রিবায়োটিক দুইই রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়েরিয়া বা অন্য কোনও রকম পেটের গোলযোগ সহজে হতে দেয় না। এই ফলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান অন্ত্রের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমাতে পারে।

৫. আনারসঃ আনারসে ব্রোমেলেন নামক একটি উৎসেচক থাকে যা প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ-বিরোধী এবং অন্ত্রের নিরাময়ে সহায়তা করে। এই কারণেই প্রাচীন যুগে আনারস ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত।

৬. আপেলঃ আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে যা খুবই জরুরি। ফলে রোজ সকালে একটি করে আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

৭. নাসপাতিঃ নাসপাতিতে সরবিটল নামক একটি প্রাকৃতিক চিনির অ্যালকোহল থাকে। এই প্রাকৃতিক রেচকের গুণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।