আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শুরুর দিকে যে কোনও সম্পর্কই থাকে মিষ্টি-মধুর। প্রথম প্রথম ঘাটতি হয় না রোম্যান্সেরও। ভালোবাসা ও খুনসুটির মধ্যে দিয়েই বয়স বাড়ে সম্পর্কের। তবে একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা যতটা সহজ, তা টিকিয়ে রাখা ততটাই কঠিন। হিসাবের গড়মিল হলেই মাঝে হানা দেয় ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য, তর্কবিতর্ক। এসবের ভিড়ে ছিটকে যায় দুটি মন। নিভে যায় যোগাযোগ। তাই সম্পর্কে চিড় ধরার আগেই সচেতন হওয়া জরুরি। সঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে কিনা সময় থাকতে কীভাবে বুঝবেন? রইল সেই পাঁচ লক্ষণ।
১.আগের মতো কি সঙ্গীর সঙ্গে কথা হয় না? এমনকী সম্পর্কে থেকেও একে অপরের জীবনে কী চলছে তা জানেন না। মনে রাখবেন, কারও সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার প্রাথমিক লক্ষণই হল যোগাযোগ কমে যাওয়া। যদি দেখেন, দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ, কথার আদান-প্রদান কমে আসছে, তাহলে বুঝতে হবে যে দূরত্ব বাড়ছে।
২. জীবনে ভালবাসার মানুষটির প্রাধান্য সবচেয়ে বেশি থাকে।কিন্তু সম্পর্কে দূরত্ব বাড়তে থাকলে একে অপরের কাছে প্রাধান্য কমতে থাকে। তাই যখনই বুঝবেন সঙ্গীর জীবনে আপনার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে তখনই সজাগ হন।
৩. আচমকাই যদি আপনার সঙ্গী মজা করতে, এক সঙ্গে সময় কাটাতে বিশেষ উৎসাহ না দেখান কিংবা কে অপরের সঙ্গে সময় কাটালেও আগের মতো আনন্দের অনুভূতি না হয় তাহলে বুঝবেন সম্পর্ক সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। সেক্ষেত্রে লক্ষণ বুঝতে পারলেও সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন।
৪. বৈবাহিক সম্পর্ককে এক সুরে বেঁধে রাখে শারীরিক সম্পর্ক। তাই নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকাটা খুব জরুরি। কিন্তু যদি দেখেন যে দিনের পর দিন এই বিষয়ে সঙ্গীর অনিচ্ছা রয়েছে তাহলে তা আপনাদের সম্পর্কের জন্য সুখকর নয়। সমস্যা বাড়ার আগেই নিজেদের মধ্যে কথা বলুন।
৫. আপনাদের মধ্যে কি রোজই ঝগড়াঝাটি হয়? আর সেই ঝগড়ার সময়ে একে অপরের প্রতি কুরুচিকর কথা বলেন? তাহলে সাবধান! এমন পরিস্থিতি আরও জটিল দিকে মোড় নেওয়ার আগেই সম্পর্কের হাত ধরুন।
