আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আজকাল চারপাশের দূষণ, ভুল খাদ্যাভ্যাস চুলের স্বাস্থ্যের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। যার ফলে চুল যেমন দুর্বল হয়ে যায়, তেমনি ঝরে যায় অকালে, অল্প বয়সেই কমে যায় চুলের জেল্লাও। যদিও আজকাল চুলকে ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যকর করার জন্য বাজারে নানান প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, তবে সেসবের আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে ! তাই ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানে। পুজো আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার আগে ৯টি  নিয়ম মানলেই সহজে ফিরে আসবে চুলের জেল্লা।

১. অ্যালোভেরা জেল- অ্যালোভেরা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় খুশকির সমস্যাতে খুব উপকারী। এছাড়াও চুল ঝলমলে করতে চুলেত গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।

২. মধু- প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে মধু। এটি শুষ্ক চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের শুষ্কতা দূর করার পাশাপাশি এটি চুলকে ঝলমলে করে। এক্ষেত্রে মধুর সঙ্গে সামান্য গোলাপ জলও মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে চুলে মধু ৩০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। 

৩ লেবু- লেবুতে ভিটামিন সি থাকায় এটি সরাসরি চুলে দিলে মাথার ত্বকে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই নারকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের জেল্লা আসার পাশাপাশি কমবে খুশকির সমস্যাও কমবে। 

৪. দই- দই চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। আপনি এটি সরাসরি কিংবা ডিমের সাদা অংশ যোগ করে চুলে লাগাতে পারেন।নিষ্প্রাণ চুলে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসবে দই। 

৫. ভিনিগার- চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার ভিনিগার। চুলে ভিনেগার লাগালে মাথার ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্যও বজায় থাকে। একইসঙ্গে চুলকে খুব সুন্দর উজ্জ্বলও দেখায়। 

৬. বেদানার রস- বেদানার রস জৌলুসহীন চুলেও প্রাণ এনে দেয় এবং চুলকে চকচকে করে। এতে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যাও কমে।

৭. নারকেলের জল- ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে নারকেল তেল। চুলে প্রোটিনের অভাব হলে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল পড়া শুরু হয়। সেক্ষেত্রে নারকেলের জল খুব ভালো কাজ করে।

৮. চায়ের জল- শ্যাম্পু দেওয়ার পর চায়ের জল ছেঁকে নিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি উপকারে আসবে।

৯. পেয়াঁজের রস- পেঁয়াজের রস চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। সঙ্গে চুলের উজ্জ্বলতাও বজায় রাখে।