আজকাল ওয়েবডেস্ক: কড়া ডায়েট, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না? কিছুতেই ঝরছে না মেদ? তার উপর শীতের মরশুমে রোজই ভূরিভোজের প্ল্যান! তবে কি বাড়তি মেদ ঝরানোর আশা পূরণ হবে না? একেবারেই নয়, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গেই শরীরকে করুন ডিটক্স। ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। শুধু ওজনই ঝরবে না, বাড়বে ত্বকের জেল্লা, ফুরফুরে থাকবে মনও।
ফলের ডিটক্স ওয়াটার- একটা বড় মুখওয়ালা কাচের বোতলে জল নিয়ে তাতে পাতিলেবু, কমলালেবু, শসা স্লাইস করে কাটা, আদা কুচি, ফ্রেশ পুদিনা পাতা কিংবা যে কোনও রকমের মিন্ট পাতা দিয়ে দিন। সারারাত ফ্রিজে রাখুন। চাইলে আপেল, তরমুজ, আঙুর কিংবা যে কোনও মরশুমি ফলও দিতে পারেন। এরকম দু'বোতল সারাদিন পান করতে পারেন।
ডিটক্স হলদি টি- আধ চা চামচ করে হলুদ ও আদা কুচি, এক চিমটি গোল মরিচ, ১ চা চামচ মধু এবং ২ কাপ জল নিন। ওভেনে জল বসিয়ে আদা ও হলুদ দিন। ২-৩ মিনিট ফুটে গেলে বন্ধ করে নিন। পরে মধু ও গোলমরিচ গুড়ো ছড়িয়ে পান করুন।।
কিউমিন ডিটক্স ওয়াটার- জিরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর শরীরে মেটাবলিজমের পরিমাণ ঠিক থাকলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে, বাড়ে হজমশক্তিও। এই পানীয় বানাতে ওভেনে একটা পাত্রে জলে নিয়ে তাতে জিরে দিন। ৩-৪ মিনিট ফুটতে দিন। আঁচ নিভিয়ে খানিকটা ঠান্ডা হলে ছেঁকে খান।
ক্লেনজিং ডিটক্স ওয়াটার- ফ্রিজে ১লিটার জলে, তরমুজের স্লাইস, শসার স্লাইস, ১টা মুসুম্বি বা পাতিলেবু, ১০-১৩টা পুদিনা পাতা দিয়ে রাখুন। এই ডিটক্স ওয়াটার শরীরের দূষিত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে।
কোকোনাট ওয়াটার উইথ লেমন অ্যান্ড মিন্ট- প্রথমে নারকেল ফাটিয়ে জল বের করে রাখুন। এবার ভেতরটা কুড়িয়ে নিন। কুড়নো নারকেল ও তার জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস, পুদিনা পাতা, মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে ভিন্ন স্বাদের ডিটক্স ওয়াটার।
