আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল অল্পবয়সেই হানা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। নেপথ্যে অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার অভাব সহ একাধিক কারণ। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ডায়াবেটিস একবার থাবা বসালেই শরীরে আরও অনেক জটিল সমস্যা শুরু হয়। তাই আগাম সতর্কতা জরুরি। আগে থেকে লক্ষণ খেয়াল রাখলেই বশে রাখা যায় ব্লাড সুগার।  

ডায়াবেটিস একটি ক্রনিক অসুখ। রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ার পিছনে রয়েছে ইনসুলিন হরমোন। এই হরমোন শরীরে কাজ করতে না পারলে বা পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্ন্যাশয় থেকে না বেরলে সমস্যা হয়। ফলে রক্তে শর্করা বাড়ে। এই অসুখের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জল তৃষ্ণা পাওয়া, বারবার প্রস্রাব হওয়া, ক্লান্তি, চোখে ঝাপসা দেখা, ওজন দ্রুত কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। তবে এর বাইরেও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের ব্যথাও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। আর সেই সব লক্ষণ নিয়ে আগাম সতর্ক না থাকলেই ঘনাতে পারে বিপদ। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে- 

আচমকা জয়েন্টে ব্যথা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে পেশী, হাড় এবং সমস্ত লিগামেন্ট দুর্বল হতে শুরু করে। সঙ্গে জয়েন্ট ফুঁলে যায়। তাই অনেকদিন এই ধরনের ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  

কাঁধে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়াও অবহেলা করা উচিত নয়। কোনও কারণ ছাড়াই এই সমস্যার সম্মুখীন হলে সতর্ক হন। ফ্রোজেন শোল্ডার ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ উপসর্গ। আসলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে কাঁধে অস্বস্তি শুরু হয়। 

শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে হাতের উপর প্রভাব পড়ে। যা থেকে হাতে অসাড়ভাব, ফুলে যাওয়া, আঙুলে ব্যথা, হাত নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, যাকে হ্যান্ড সিনড্রোম বলে। তাই আচমকা হাতে এই ধরনের সমস্যা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

পায়েও ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা যায়। পায়ের পাতায় ব্যথা, অস্বস্তির অনুভূতি হতে পারে। আসলে সুগার বেশি থাকলে পায়ে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয় না। সেই কারণে পায়ে কোনও ইনফেকশন হলে বা আঘাত লাগলে সহজে সারতে চায় না।

মাড়ির সমস্যাকে বলা হয় পেরিওডন্টাল ডিজিজ। এই অসুখ সুগার রোগীদের বেশি হয়। এক্ষেত্রে মাড়িতে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তাই মাড়ির পেশি দুর্বল হয়। এমনকী ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই মাড়িতে ব্যথা, রক্ত পড়লেও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।