আজকাল ওয়েব ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে যেকোনও মরসুমি সবুজ শাকসব্জি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। সামনেই শীত আসছে।হরেক রকম রঙিন সবুজ শাকসব্জির পাশাপাশি নিজের নানাবিধ গুণের জন্য সবার পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে একটি রঙিন সব্জি, তা হল বিট।এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে আপনিও অবাক হবেন।
অনেকেই আছেন লাল রঙের জন্য বিট খেতে পছন্দ করেন না।শরীরের অনেক জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে বিটের কিন্তু জুড়ি মেলা ভার।
ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ এই বিট।
বিটে রয়েছে ফাইবার যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য একাই একশো। বিট কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।তাছাড়া পেটের নানা সমস্যাতেও এটি সমান ভাবে উপকারি।
বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, সি।সমস্ত উপকরণগুলো লিভার ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে।লিভারের মধ্যে কোনও দূষিত পদার্থ জমতে দেয় না। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকায় আমাদের শরীরে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হতে দেয় না বীট।ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার থাকার জন্য অন্ত্রের একাধিক সমস্যা দূর করে। ফলে খাবার সহজে হজম হয়।কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি, গ্যাস ইত্যাদি থেকে দূরে রাখে বিট। পাশাপাশি বিটের মধ্যে থাকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপকরণের সাহায্যে আমাদের সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ভাল হয়, তাই নার্ভের কাজও সঠিকভাবে চলে।
ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে বা একধাক্কায় কমে গেলে, দু'ক্ষেত্রেই অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।বিটের মধ্যে থাকা নাইট্রিক অক্সাইড শরীরের সর্বত্র ভালভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে এবং একই সঙ্গে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও রাখে।আর ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার হার্ট থাকবে সুস্থ।হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এসবের ঝুঁকি কমবে।
