আজকাল ওয়েব ডেস্ক: একরত্তির এত রাগ যে সব কথায় জেদ ও মারকুটে স্বভাব।চারিদিক থেকে নালিশ এলে কারোরই ভাল লাগে না।কথায় কথায় মারামারি একেবারেই ভাল আচরণ নয়।সন্তানকে শাসন করতে গিয়ে আরও কড়া হতে হচ্ছে বাবা-মাকে।কিন্তু হিতে বিপরীত হচ্ছে, উত্তরোত্তর বাড়ছে সন্তানের রাগ ও দৌরাত্ম্য।ফলে দূরত্ব বাড়ছে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের এবং মুখে-মুখে তর্ক, কোনও কথা না শোনা, কিছু ক্ষেত্রে জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা বা অবাধ্যতা রপ্ত করে ফেলছে খুদেরা।এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, জেনে নিন।
সন্তান খুব মারকুটে হয়ে গেলে অভিভাবকেরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন।স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মারামারি করছে, ভাই বোনেদের সঙ্গে রেষারেষি, ঝগড়া মারপিট।ইদানীং ছোট থেকে বড় সকলেরই রাগের পারদ চড়ছে।সন্তানের রাগ সামলাতে হিমশিম খেয়ে যান বাড়ির সকলে।মায়েরা এমন পরিস্থিতিতে সন্তানকে বকাঝকা না করে ভাল ভাবে বোঝান। হয়তো এমন হয়েই পারে,আপনাদের সারা দিন কাছে না পেয়ে একরত্তির মনে পাহাড়প্রমাণ অভিমান জমে থাকছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এভাবেই। সেক্ষেত্রে সন্তানকে সঙ্গ দিন। চাকরি বা কাজের সূত্রে দিনভর বাইরে থাকলেও ওর সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে কথা বলুন।বাড়ি ফিরে একসঙ্গে সময় কাটান।তখন দুষ্টুমি করার জন্য না বকে বরং ওর কথা শুনুন।ভাল ভাবে বোঝান ঠিক ভুলের পার্থক্য।
বেশির ভাগ সময়েই সন্তান রেগে গেলে অভিভাবকেরা আরও রেগে যান। গায়ের জোরে তাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। অনেক সময়ে গালমন্দও করেন। সন্তান রেগে গেলে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই খুদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ধীরে ধীরে, জোর করে নয়।
আপনার সন্তান কাওকে আঘাত করার আগের মুহূর্তের পরিস্থিতি বা ঘটনাকে মনে রাখবেন। হয়তো সে ক্লান্ত, খিদে পাওয়া বা কোন অসম্পূর্ণ কাজের জন্য বিরক্ত হয়ে ছিল। প্রচন্ড রাগের মুহূর্তে একটা গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে সেই জায়গা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা শেখান।তবে অনেক বিরূপ পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
সন্তান যদি অতিরিক্ত অবাধ্য হয়ে যায়, তবে তাকে সাঁতার, মার্শাল আর্ট, যোগব্যায়াম এমনই কিছুতে ভর্তি করে দিন, যাতে সে চনমনে থাকে। ছবি আঁকা, গান বা নাচ শেখা, নাটক-আবৃত্তি ইত্যাদি সৃজনশীল কাজেও ব্যস্ত রাখুন খুদেকে।সবসময়েই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা আসে তার মাথায়।
সারাদিন পরে মা-বাবা বাড়ি ফেরার পরে সন্তান হয়তো মনে মনে তাদের সঙ্গে খেলতে চাইছে, কিন্তু তাঁরা তখন ক্লান্ত শরীরে শুনতে চাইছেন না। রোজকার এই ঘটনাও অনেকাংশে দায়ী। তাই খুদে কী চাইছে তা বুঝতে হবে।নিজের পরিস্থিতিও সন্তানকে বোঝাতে হবে।আপনি কেন বাড়িতে থাকতে পারছেন না, আপনার কাজের ধরন ওদের বলতে হবে।
