আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর আখের রস। ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ আখের রস গরমকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। গরম বাতাস থেকে শরীরকে চনমনে রাখতে এনার্জি জোগায়। একাধিক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও অনেকের আখের রস একেবারেই পান করা উচিত নয়। তাহলে কারা আখের রস এড়িয়ে চলবেন, জেনে নিন- 

* ওজন কমাতে চাইলে- আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে বুঝেশুনে আখের রস খান৷ কারণ আখের রসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং চিনি থাকে, যা শরীরে দ্রুত মেদ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে পেটের চর্বি বাড়ে। তাই আখের রস নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

* পেটের সমস্যা থাকলে: আখের রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা পাচনতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিকোসানল থাকে, যার ফলে শরীরের হজম শক্তি ব্যাহত হতে পারে। এই উপাদানটির কারণে পেট ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা এবং ডায়েরিয়ার মতো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কোনও রকম পেটের সমস্যায় ভুগলে আখের রস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

* ডায়াবেটিস থাকলে: গ্রীষ্মকালে আখের রস খেলে হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় ঠিকই, কিন্তু আখে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আখের রস খাওয়া উচিত নয়। 

* দাঁতের সমস্যা থাকলে- দাঁতে ব্যথা বা মাড়িতে গর্তজনিত সমস্যায় ভুগলে ভুল করেও আখের রস পান করবেন না। আখের রস অন্যান্য ফলের রসের তুলনায় বেশি মিষ্টি। এতে উপস্থিত উপাদানগুলি মুখের ব্যাকটেরিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। যার কারণে মাড়িতে গর্ত এবং দাঁত দুর্বল হওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

* গর্ভবতী হলে কিংবা মাতৃদুগ্ধ করালে:  মহিলাদের গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদুগ্ধ পান করালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আখের রস খাওয়া উচিত। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি থাকে যা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও এটি পান করার পর শরীরে ওষুধের প্রভাবও কমে যেতে পারে।