বৈদিক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর প্রেম, সুখ ও সম্পদের অধিপতি শুক্র গ্রহ জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র থেকে কেতুর মূল নক্ষত্রে প্রবেশ করবে।

 

২০ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল ৭:৫০ মিনিটে শুক্র মূল নক্ষত্রে গোচর করবে এবং এরপর ৩০ ডিসেম্বরের রাতে শুক্র পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রে প্রবেশ করবে।

 

শুক্রের এই নক্ষত্র পরিবর্তন

 

শুক্রের এই নক্ষত্র পরিবর্তন সমস্ত রাশির জাতকদের উপর শুভ–অশুভ উভয় প্রভাব ফেলতে পারে।

 

তবে এমন তিনটি রাশি রয়েছে, যাদের জন্য শুক্রের কেতুর নক্ষত্রে প্রবেশ বিশেষভাবে শুভ ফল বয়ে আনতে পারে। জেনে নেওয়া যাক সেই রাশিগুলি কোনগুলি।

 

বৃষ রাশি

 

বৃষ রাশির জাতকদের জন্য শুক্রের এই নক্ষত্র পরিবর্তন অত্যন্ত শুভ হতে পারে।

 

জীবনসঙ্গীর সঙ্গ প্রেম ও বোঝাপড়া আরও গভীর হবে।

 

ধর্মীয় ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে।

 

দীর্ঘদিনের সমস্যা ও বাধা দূর হতে থাকবে।

 

অর্থপ্রাপ্তি ও আয়ের বৃদ্ধি হতে পারে।

 

রোগ–দোষ কমবে এবং বড় কোনও সুসংবাদ আসতে পারে।

 

আত্মবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে।

 

তুলা রাশি

 

তুলা রাশির জাতকদের জন্য শুক্রের মূল নক্ষত্রে গোচর অত্যন্ত শুভ প্রভাব ফেলবে।

 

কর্মক্ষেত্রে বড় সাফল্য এবং উচ্চ পদ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ব্যবসায় বড় অঙ্কের মুনাফা হতে পারে।

 

ভাগ্যের চাকা ঘুরে পুরনো সমস্ত আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

 

এই সময় যেন মাটি ছুঁলেই সোনা পাওয়ার মতো সৌভাগ্য মিলবে।

 

চাকরিজীবীদের পদোন্নতির সম্ভাবনা প্রবল।

 

মীন রাশি

 

মীন রাশির জাতকদের জন্য শুক্রের কেতুর নক্ষত্রে প্রবেশ অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক হতে পারে।

 

জীবনের সুখ–সুবিধা বাড়বে।

 

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সফল হবে।

 

আয়ের নতুন উৎস তৈরি হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

 

পরিবার থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন ও সম্মান বাড়বে।

 

দাম্পত্য জীবনে প্রেম ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পাবে।

 

শুক্রের এই বিরল নক্ষত্র পরিবর্তন শুধু জ্যোতিষ–গণনার একটি অধ্যায় নয়, বরং অনেকের জীবনে নতুন দিক ও সম্ভাবনার দরজা খুলে দেওয়ার সময়। বৃষ, তুলা ও মীন—এই তিন রাশির জন্য আগত সময় যেন বহু প্রতীক্ষিত আলো নিয়ে এগিয়ে আসছে। যেখানে একদিকে প্রেম, সম্পর্ক ও মানসিক শান্তি শক্তিশালী হবে, অন্য দিকে কর্মজীবন ও অর্থভাগ্যেও দেখা দেবে বিস্ময়কর উন্নতি। যেসব কাজ এতদিন আটকে ছিল, যেসব আশা বারবার ভেঙে যাচ্ছিল—সেগুলোও পূরণের পথ খুঁজে পাবে।

 

তবে এটাও মনে রাখা জরুরি যে গ্রহের গতি শুভ ফলের সম্ভাবনা তৈরি করে বটে, কিন্তু সেই সুযোগকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত, ইতিবাচক মনোভাব ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। তাই এই শুভ সময়টিকে শুধুই ভাগ্যের উপর না ছেড়ে, নিজের কর্ম–শক্তি ও আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই হবে প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।