সংবাদসংস্থা, মেক্সিকো: এই মহাবিশ্বে কি কেবল পৃথিবীতেই প্রাণ আছে? নাকি অজানা কোনও গ্রহে লুকিয়ে রয়েছে কোনও ভিনগ্রহী জীব? কল্পবিজ্ঞান থেকে চলচ্চিত্র, বারংবার এই প্রশ্ন উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। ২০২৫ এ পৌঁছেও সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ২০১৭ সালে পেরুতে বেশ কিছু মমির মতো মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। সেই সময় অনেকেই দাবি করেছিলেন সেই মমিগুলি কোনও ভিনগ্রহী প্রাণীর। যদিও মমিগুলিকে অধিকাংশ বিজ্ঞানীই সেই সময় নকল বলে খারিজ করে দেন। কিন্তু সেই নমুনা পরীক্ষাকারী গবেষকদের একাংশ এখনও তা মেনে নিতে নারাজ। সম্প্রতি ফের একবার আলোচনা শুরু হয়েছে 'এলিয়েন মমি' নিয়ে।

গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে 'মেক্সিকান নেভি মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর জোসে জালসের কিছু বয়ান। জোসে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি সম্প্রতি ২১ টি মমি নতুন করে পরীক্ষা করেছেন। তাঁর দাবি, মমিগুলিতে আঙ্গুলের ছাপ, হাড়ের কাঠামো, দাঁতের গঠন, পেশী এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবই খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি ওই সব নমুনা 'আসল।'

জোসে জানিয়েছেন, তাঁর পরীক্ষা করা নমুনাগুলির মধ্যে এমন কিছু মমি রয়েছে, যারা অন্তঃসত্ত্বা। এই ধরনের নমুনা কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা অসম্ভব বলে মনে করেন তিনি। গত ছয় বছর ধরে জালসে এবং তার দল মমিগুলির এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, ফ্লুরোস্কোপি, ডিএনএ পরীক্ষা, ফরেনসিক পরীক্ষা, আঙ্গুলের ছাপ এবং কোষের নমুনা পরীক্ষা করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বিতর্কিত সাংবাদিক জেইম মৌসান ঠিক একই রকম 'এলিয়েন মমি' আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করেন। মেক্সিকোর সংসদে গোটা ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশের দাবি, মমিগুলি মোটেই ভিনগ্রহী প্রাণীর নয়। সেগুলি হয় নকল, নয়তো বিলুপ্ত কোনও প্রাণীর দেহাবশেষ। সবমিলিয়ে 'এলিয়েন' বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ আপাতত নেই।