৬০ বছরে পা দিলেন সলমন খান। বলিউডে কাটিয়ে ফেলেছেন তিন দশক। তবে তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও এখনও ফিট ভাইজান। তাঁর ফিটনেস তরুণ প্রজন্মকে সহজেই হার মানাতে পারে।
আজ ২৭ ডিসেম্বর সলমনের জন্মদিন। আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সিনিয়র সিটিজেন’-এর খাতায় নাম লেখালেন অভিনেতা। তবে তাতে কী! বয়স যে কেবল সংখ্যা ছাড়া কিছুই নয়, আজও সেকথা প্রমাণ করেন সেলিমপুত্র।
আমজনতার কাছে ৬০ বছর মানেই জীবনের শেষ অধ্যায়ের শুরু। জটিল রোগভোগের হানা প্রতিরোধ থেকে বিশ্রামকে বেশি গুরুত্ব, বার্ধক্যের দিকে পা বাড়াতেই এমন ছবি দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষের জীবনে। কিন্তু সলমন একেবারে উল্টো ছবি তুলে ধরেন। সম্প্রতি জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর জিমের ছবি ও ভিডিও। যা দেখে বরাবরের মতো উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা।
সলমনের ফিটনেসের মূল চাবিকাঠি হল নিয়মিত শরীরচর্চা ও কঠোর শৃঙ্খলা। তিনি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন, তা শুটিং থাকুক বা না থাকুক। তাঁর ওয়ার্কআউট রুটিনে থাকে স্ট্রেংথ ট্রেনিং, ওজন তোলা, পুশ-আপ, স্কোয়াট ও কার্ডিও। বয়স বাড়লেও তিনি ব্যায়ামের তীব্রতা কমাননি, বরং শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী তা সাজিয়ে নিয়েছেন।
শুধু জিমেই নয়, খাবারদাবারেও সলমন খান ভীষণ সচেতন। তিনি প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, সেদ্ধ বা কম তেলে রান্না করা খাবার খান। বাইরের ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মিষ্টি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলেন। পর্যাপ্ত জল পান করা, সময়মতো খাওয়া ও ভাল ঘুম-এই তিনটি বিষয় তাঁর ফিট থাকার বড় কারণ।
সলমনের ফিটনেসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল মানসিক শক্তি। বহু শারীরিক চোট, অস্ত্রোপচার এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। বরং প্রতিবার আরও দৃঢ়ভাবে ফিরে এসেছেন। তাঁর মতে, শরীর ভাল রাখতে হলে আগে মনকে শক্ত করতে হয়। ইতিবাচক মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাসই তাঁকে আজও তরুণ রাখছে।
৬০ বছর বয়সেও সলমন খান যেভাবে নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন, তা আজকের প্রজন্মের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, বয়স বাড়লেই যে শরীর ভেঙে পড়বে, এমনটা নয়। নিয়ম, ধৈর্য আর পরিশ্রম থাকলে বয়সের উলটো পথে হাঁটাও সম্ভব।
