আধুনিক জীবনযাত্রায় কাজ আর বাড়ি-তাতেই যেন আবর্তিত হচ্ছে অধিকাংশের জীবন। কখনও সংসারের চাপ, কখনও বা পাহাড় সমান জমে অফিসের কাজ। পেশাগত-ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলাই বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যস্ত জীবনের চাপ শুধু শরীর নয়, প্রভাব ফেলছে সম্পর্কেও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপও। বিশেষ করে দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কে অনেক দম্পতির মধ্যেই ধীরে ধীরে আসতে থাকে একঘেয়েমি। শুরুতে যতটা উত্তেজনা, আবেগ আর নতুনত্ব থাকে, সময়ের সঙ্গে তা কমতে থাকে। তখন অনেকের মনে হয় সম্পর্কটা যেন শুধু অভ্যাসে টিকে আছে। কিন্তু সামান্য কয়েকটি কৌশল মেনে চললে এই পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব। শুধু কিছু ছোট ছোট অভ্যাস তৈরি করলেই সুখী ও প্রাণবন্ত সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন।

১. রোমান্টিক কথাবার্তাঃ সম্পর্কের শুরুতে যেমন রোমান্টিক কথাবার্তা, ফ্লার্টের মাধ্যমে একে অপরকে আকর্ষণীয় মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি অনেকেই বন্ধ করে দেন। বিশেষজ্ঞের মতে, এটিই একটি বড় ভুল। সঙ্গীর সঙ্গে প্রলাপ চালিয়ে যাওয়া মানে হল তাকে বোঝানো যে সম্পর্ক এখনও রোমান্টিক, এখনও অটুট রয়েছে আকর্ষণ। এটি সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে এবং একঘেয়েমি ভাঙে।

আরও পড়ুনঃ হাতের সামান্য ব্যথাই কি হার্ট অ্যাটাকের সংকেত? ধমনীর ব্লকেজের ৭ মারাত্মক লক্ষণ না চিনলে অকালে শেষ হবে জীবন

২. সারাদিন নিরন্তর কথা নয়, মানসম্মত সময় দিনঃ অনেকে মনে করেন সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখা মানেই ভালবাসা প্রমাণ করা। কিন্তু এতে সম্পর্কের মধ্যে কৌতূহল হারিয়ে যায়। সারাদিন যদি হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোনে সবকিছু শেয়ার করা হয়, তবে আলোচনার নতুন কিছু থাকে না। বরং নির্দিষ্ট সময়ে বসে মন দিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। এভাবে কম সময় হলেও মানসম্মত সময় কাটানো যায়, যা সম্পর্ককে আরও গভীর করে।

৩. একসঙ্গে হাসুনঃ হাসি হল সম্পর্কের শ্রেষ্ঠ ওষুধ। মজার মিম শেয়ার করা, একসঙ্গে কমেডি সিনেমা দেখা বা ছোটখাটো মজার ঘটনা নিয়ে প্রাণখোলা হাসি সম্পর্ককে হালকা, প্রাণবন্ত এবং আনন্দময় করে তোলে। গবেষণায়ও দেখা গেছে, যারা একসঙ্গে বেশি হাসে, তাদের সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি এবং দৃঢ় হয়।

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও ফুলে রয়েছে পেট? নেপথ্যের তিন ‘খলনায়ক’-কে শায়েস্তা করলেই কমবে পেটফাঁপা

সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী রাখতে এই সব কৌশল কোনও কঠিন নিয়ম নয়, বরং সহজ ছোট্ট অভ্যাস। নিয়মিত সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ, ভালবাসা ও আনন্দ ভাগ করে নিলে সম্পর্ক সবসময় তরতাজা থাকে। আর যদি জটিল সমস্যা তৈরি হয়, তবে অবশ্যই পেশাদার কাউন্সেলিং নেওয়া উচিত।