আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে মুঠোফোন ও বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসগুলি। যা আপনার অবসর সময়কে নতুন আকার দিয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনা পরবর্তী সময়ে পড়ুয়াদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এইসব ডিভাইসগুলো। ফলে বাড়ছে স্ক্রিনটাইম। যার ফলে বাচ্চাদের সামাজিক আচরণ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যাপক ব্যবহার প্রভাবিত করছে শিশু মন ও শরীর। বাচ্চারা ডিজিটাল গ্যাজেটে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করে। তারা উদ্যমী, দীর্ঘক্ষণ স্থির থাকতে পারে না। ক্রমাগত স্ক্রিন টাইম তাদের নার্ভের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওদের মধ্যে বাড়ে হতাশা।
 
প্রাক ডিজিটাল যুগে বাচ্চারা আউটডোর গেম খেলত, তাতে তাদের শক্তির আধার তৈরি হত। মানসিক এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ত। এখন ঘরে বসে খুব সহজেই ডিজিটাল ডিভাইসগুলি তাদের একঘেয়েমি দূর করে ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে বসে থাকায় শিশুদের মানসিক সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিলে বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের এবং তাদের আচরণে দ্রুত উন্নতি সম্ভব। দাবি সমীক্ষার।
শিশুরা প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘন্টা বিনোদনের জন্য সময় ব্যয় করে। সেটা গেম, খেলাধুলো, সিনেমা, কমিকস্‌ ইত্যাদি হতে পারে। স্ক্রিন টাইম যদি তিন ঘন্টা করে কম করা যায়, তাহলে ১৪ দিনের মধ্যেই কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। যেমন— শিশুরা আরও বেশি সামাজিক, চিন্তাশীল, হয়ে উঠবে।
ডিজিটাল ডিভাইসগুলি অবশ্যই অবসর সময় কাটানোর চাবিকাঠি।কিন্তু শিশুদের ব্যবহারের সীমা বুঝতে হবে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অস্বাস্থ্যকর এবং তাদের মানসিক বিকাশকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। তাই ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি অবসর সময়কে আরও মজাদার করে তুলতে পারে। আপনার সন্তানকে পর্যবেক্ষণ করুন । সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল গ্যাজেট বন্ধ করে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং বাচ্চার স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন একটু করে। তাহলে আপনার উদ্বেগ দূর হবে অনেকটাই।