আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। সিনেমা শুরু হওয়ার আগে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি-— ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে চর্চা চলে সর্বত্র। মনের আনন্দে সুখটান হোক কিংবা স্ট্রেস ফ্রি থাকতে ধোয়া সেবন, শরীরের উপর যে বড় প্রভাব ফেলে সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু জানেন কি সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর মশার কয়েল। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সারা বছর তো বটেই, শীতের দিনে মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে অনেকেই কয়েল বা ধূপ জ্বালান। কিন্তু শীতের মরশুমের বায়ুদূষণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে বদ্ধ ঘরে মশা তাড়ানোর ধূপ জ্বালানো যে কতটা ক্ষতিকর তা অনেকেরই জানা নেই। গবেষণা বলছে, মশা তাড়ানোর ধূপ থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয়, তা থেকে আক্ষরিক অর্থেই বাতাসে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। যা অসংখ্য সিগারেট খাওয়ার সমান। এমনকি আপনি যদি নন-স্মোকার হন, জীবনে কোনওদিন সিগারেট ছুঁয়েও না দেখেন, তাহলেও মশার কয়েলের কারণে আপনার ফুসফুসের অনেক বেশি ক্ষতি হবে। 

দীর্ঘদিন ধরে মশার ধূপ থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয় তা শরীরে প্রবেশ করার ফলে ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ়’ (সিওপিডি) হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা ধূমপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০০টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়া। তাই ঝুঁকি এড়াতে এই ধরনের কয়েল ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ফুসফুসের রোগ একবার বাসা বাঁধলে মারণ ফাঁদ ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। 

আসলে মশা তাড়ানোর ধূপে এমন উপকরণ থাকে যা আগুনে পুড়লে বাতাসে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড ছড়িয়ে দেয়। আর এই দুই ধরনের গ্যাসই স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। নিয়মিত মশার কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে। অ্যাজমার সমস্যা থাকলে মশা তাড়ানোর ধূপ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। ভুগতে পারেন ক্রনিক কাশির সমস্যায়। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলেও মশা তাড়ানোর ধূপের ধোঁয়ায় তা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও চোখ এবং নাক লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।