আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ সারা বছরই সর্দিতে নাজেহাল অবস্থা হয়। দু’দিন অন্তর সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে কার ভাল লাগে? সামনেই শীত আসছে। এই সমস্যা শীতে আরও গুরুতর হয়। ঠান্ডা লাগার ভয়ে রোজ স্নানও করাতে পারেন না।  তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, স্নানের সময় এবং পদ্ধতিতে সামান্য পরিবর্তন করে এই সংক্রান্ত সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। তবে ওষুধ খাওয়ানো চালু রাখতেই হবে। সেই কাজ আরও কষ্টসাধ্য। কান্নাকাটি,  চিৎকার বকাঝকা করেও বিফল হচ্ছেন অভিভাবকেরা। যখন বাড়িতে হাতের সামনেই রয়েছে ঘরোয়া সমাধান তখন ওষুধ খাওয়ানো নিয়ে এত ঝামেলা করবেন না। 

পাঁচ ছয়টি করে এলাচ ও লবঙ্গ ছাঁকনিতে দিয়ে ভাল মতো পুড়িয়ে নিন। ঠান্ডা হলে খুব মসৃণ করে গুঁড়ো করে নিন। একটি কাচের জারে এলাচ ও লবঙ্গের গুঁড়োর সঙ্গে হাফ চামচ করে হলুদগুঁড়ো ও দারচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সবশেষে এক চামচ মধু দিয়ে একটা থকথকে জেল তৈরি করে নিন।
 রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই অতি উপকারী মিশ্রনটি চামচে ঢেলে সামান্য গরম করে শিশুকে খাইয়ে দিন। একদিন অন্তর দিলে ভাল ফলাফল পাবেন।
বুকে কফ জমে থাকলে সহজেই বেরিয়ে আসবে, গলার ইনফেকশনও কমবে খুব তাড়াতাড়ি। তবে খুব বাড়াবাড়ি হলে, কাশি বেড়ে শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। এক বছর বয়সী কম শিশুর ক্ষেত্রে এই টোটকা প্রয়োগ করবেন না।

সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথা এবং ঠান্ডা লাগা জনিত যে কোনও সমস্যা, গলা ব্যথার মতো সমস্যায় লবঙ্গ তেল মালিশ করলে ঠান্ডা লাগার ধাত কমে যায়। লবঙ্গের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্য শিশুদের ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া আটকায় এই মশলা।
তবে মনে রাখবেন, সামগ্রিক সুস্থতার জন্য পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও জরুরি। তাই নিময় মেনে নিয়মিত স্নান করাতে হবে শিশুদের। তবে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। যদি সন্তানের ঠান্ডা লাগার ধাত থাকে, সে ক্ষেত্রে সকালের দিকে স্নান করিয়ে নেওয়াই ভাল। বেলা বাড়লে রোদের তেজ কমতে থাকে। ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থেকেই যায়।