আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবছরই ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় জন্মাষ্টমী উৎসব। ওইদিন ঘরে ঘরে পূজিত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। বলা হয়, জন্মাষ্টমীর দিন যে ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন, সেই ব্যক্তির জীবনে সাফল্য নিত্যসঙ্গী হয়। সর্বদা সেই ভক্তের ওপর ভগবান কৃষ্ণের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে।
জন্মাষ্টমী তিথিতে গোপাল ও কৃষ্ণের আরাধনা করার পাশাপাশি বিশেষ কয়েকটি উপায় মানলে রাতারাতি বদলে যেতে পারে আপনার ভাগ্য। সুখ ও সমৃদ্ধিময় জীবনের অধিকারী হতে পারেন আপনিও।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাত ১২টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন দেবকি-নন্দন। তাই এই সময়টিকে অত্যন্ত শুভ বলেই মানে জ্যোতিষশাস্ত্র। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে জন্মাষ্টমীর দিন রাত ১২টা কৃষ্ণ অভিষেকের বিধান দেওয়া হয়। মধ্যরাতে সম্ভব না হলেও, তিথি থাকাকালীন কৃষ্ণকে দুধ, মধু, ঘি, গঙ্গাজল, সাদা চন্দন, দই ও ফুল দিয়ে অভিষেক অবশ্যই করান।
এইদিন কৃষ্ণকে হলুদ ফুল, হলুদ মিষ্টি, হলুদ ফল ও হলুদ বস্ত্র নিবেদন করলে জীবনে ধন-সম্পদের পাশাপাশি খ্যাতিও বৃদ্ধি পায়। জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণকে লাড্ডু ভোগ দিলে আর্থিক সাফল্য আসে। পাশাপাশি এই দিন কানাইকে মধু নিবেদন করলেও গৃহ সর্বদা অর্থ ও শস্যে পরিপূর্ণ থাকবে। জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণকে নিবেদন করা ভোগে তুলসী পাতা দিলে অচিরেই শ্রীকৃষ্ণ ও দেবী লক্ষ্মীর আশির্বাদ পাওয়া যায়।
বাড়িতে বিবাদ-কলহ দূর করে শান্তি ফেরাতে চাইলে এইদিন গৃহে তুলসী গাছ রোপন করতে পারেন। পাশাপাশি জন্মাষ্টমীতে তুলসী মঞ্চে সন্ধ্যাবেলা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আর্থিক উন্নতি চাইলে এই দিন অবশ্যই বাড়িতে ময়ূর পালক নিয়ে আসুন।
বাঁশি শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। এই বাঁশ শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। জন্মাষ্টমীর দিন আর্থিক ভাগ্য ফেরাতে বাড়িতে বাঁশি আনতে পারেন। বাস্তুশাস্তেও বাঁশিকে অত্যন্ত শুভ প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাড়িতে কাঠের বাঁশি থাকলে সেই গৃহে সর্বদা কানাইয়ের কৃপা বর্শিত হয়। তাছাড়া সম্মোহন, সুখের প্রতীকও বাঁশি। শ্রীকৃষ্ণকে বাঁশি নিবেদন করে সেই বাঁশি গৃহে রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়।
