আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিরামিষাশীদের মধ্যে পনির অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। যারা মাঝে মাঝে নিরামিষ খান, তাঁদেরও পনির বেশ পছন্দের। পনিরের রয়েছে হরেক পুষ্টিগুণ। পনির দিয়ে মশলাদার খাবার যেমন তৈরি করা যায়, তেমনই বেশ স্বাস্থ্যকর পদও চট করে বানিয়ে ফেলা যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলেও নির্বিদ্ধায় খেতে পারেন পনির। কিন্তু প্রশ্ন হল ভেজালের যুগে বাজার থেকে যে পনির কিনে আনছেন তা নকল না তো? কারণ ইদানীং রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল পনির। যা খেলেই পেট ব্যথা, গ্যাস, ডায়েরিয়া থেকে কিডনি এবং লিভারের অসুখের মতো গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ পরীক্ষায় পনির যাচাই করে নিতে পারেন।
একটি পাত্রে খানিকটা গরম জল নিন। এবার এতে পনিরের একটি ছোট টুকরো দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর পনিরে কী পরিবর্তন হচ্ছে তা ভাল করে খেয়াল করুন। যদি পনিরটি আসল হয় তাহলে তার গঠন ঠিক থাকবে। জলে গলে যাওয়ার পরে এটি কোনও ফেনা ছাড়বে না। সঙ্গে পনিরের রং পরিবর্তন হবে না এবং গন্ধও স্বাভাবিক থাকবে।
অন্যদিকে, যদি পনিরটি নকল হয়, তবে সেটি দ্রুত ভাঙতে বা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে। জলের উপর একটি সাদা ফেনা বা তেলের মতো স্তর দেখা দিতে পারে। সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হতে পারে। জলে স্টার্চের মতো আঠালোভাবও লক্ষ্য করতে পারেন।
স্টার্চের ভেজাল কীভাবে পরীক্ষা করবেন? পনিরটি ভাল করে চটকে নিন। তাতে ২-৩ ফোঁটা আয়োডিন টিংচার বা হলুদের জল যোগ করুন। যদি রঙ নীল বা কালো হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন এতে স্টার্চ মেশানো রয়েছে। যা ভেজাল পনিরের লক্ষণ।
সাবধানতা অবলম্বনে বাড়িতে পনির তৈরি করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। বাজার থেকে কিনতে হলে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড থেকে কিনুন। এছাড়া কেনার আগে গন্ধ এবং স্পর্শ করে পনিরের গঠন শনাক্ত করে নিন।
