রান্নাঘরে ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিসই যত্ন করে পরিষ্কার রাখা জরুরি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কিচেন টাওয়েল পরিষ্কার করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন না। একবার শুধু জল দিয়ে ধুয়ে তারা মাসের পর মাস একই তোয়ালে ব্যবহার করে থাকেন। অথচ বেশ কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, রান্নাঘরের তোয়ালে টয়লেট শিটের থেকেও বেশি ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে।
তবে এটাও সত্যি যে, কিচেন টাওয়েল পরিষ্কার করা সহজ কাজ নয়। অনেক সময় ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালভাবে ধুলেও তোয়ালে থেকে যায় চিটচিটে ভাব। ফলে প্রশ্ন ওঠে—এগুলোর ঠিকমতো পরিষ্কার এবং নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করবেন? এখনও যদি এই সমস্যার সমাধান না পেয়ে থাকেন, তাহলে কয়েকটি টিপস জেনে নিন। যা সবচেয়ে নোংরা তোয়ালেকেও নতুনের মতো ঝকঝকে করে তুলতে পারে। অথচ সময়-খরচ কিছুই লাগবে না।
কীভাবে পরিষ্কার করবেন কিচেনের ময়লা তোয়ালে
কিচেন টাওয়েল পরিষ্কার করতে লেবু এবং ভিনিগার খুবই কার্যকর। এগুলো ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ দূর করে এবং জমে থাকা জেদি দাগও তুলে দেয়। এক চামচ নুনের সঙ্গে লেবু এবং ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার তাতে নোংরা তোয়ালে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
কাপড়ের জেদি দাগ তুলতে বেকিং সোডা একটি দুর্দান্ত ক্লিনজিং এজেন্ট। একটি পাত্রে দু’থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা এবং অল্প ডিটারজেন্ট নিয়ে জল মেশান। এবার তোয়ালে সেই মিশ্রণে ভিজিয়ে রাখুন। পাঁচ থেকে দশ মিনিট পর পাত্রটিকে গ্যাসে বসিয়ে মিশ্রণটি কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে তোয়ালে হাতে ঘষে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
বাড়িতে যদি মাইক্রোওয়েভ থাকে, তবে ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখা কিচেন টাওয়েল ১০–১৫ সেকেন্ডের জন্য ফুল টেম্পারেচারে মাইক্রোওয়েভে রাখুন। এতে দাগ এবং চিটচিটে ভাব দুটোই সহজে দূর হবে, পরিশ্রমও কম লাগবে।
রান্নাঘরকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি তার প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসগুলোর সঠিক যত্ন নেওয়া। কিচেন টাওয়েল যত ছোটই হোক, এটি আপনার স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অবহেলা না করে নিয়মিত পরিষ্কার করুন, প্রয়োজনে উপরের সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন। একটু বাড়তি যত্নই পারে আপনার পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে—আর রান্নাঘরকে রাখতে আরও নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর।
