আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিছুতেই জুটছে না পাত্র। বিয়ের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা। অবশেষে বিয়ের স্বপ্নপূরণের জন্য নিজেদের ভাইপোকেই নৃশংসভাবে খুন করল পিসিরা‌। চার যুবতী মিলে ১৬ বছরের কিশোরকে পায়ের তলায় পিষে খুন করে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের জন্য নাছোড়বান্দা চার যুবতী ভাইপোকে পায়ের তলায় পিষে খুন করে। তাদের ধারণা ছিল, ভাইপোকে খুনের পর তাদের বিয়ের স্বপ্নপূরণ হবে‌। চার যুবতীর এহেন কীর্তিতে মর্মান্তিক পরিণতি ১৬ বছরের এক কিশোরের। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৃত কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, চার যুবতীই সম্পর্কে তাঁর শ্যালিকা। বিয়ের জন্য কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু কোনও মতেই পাত্র জুটছিল না। তাদের ধারণা ছিল, ভাইপোর মৃত্যুর পর তাদের ইচ্ছেপূরণ হবে। বিয়ের জন্য নাছোড়বান্দা চার যুবতী পরিকল্পনামাফিক ভাইপোকে খুন করে। চার শ্যালিকার চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

চার যুবতীর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে বিছানায় বসে এক যুবতীকে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতে দেখা গেছে। সেই সময় তার কোলে এক শিশু ছিল। কিছুক্ষণ পর আরও তিন যুবতী বিছানায় উঠে ওই এক মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করে। ভাইপোকে খুনের নেপথ্যে কোনও তান্ত্রিকের নির্দেশ ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ১২ বছর বয়সি নাবালকের গোপনাঙ্গ, গলা কেটে খুন। নিখোঁজ নাবালকের ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, দাদার উপর প্রতিশোধ নিতেই ভাইপোকে নির্মমভাবে খুন করেছেন কাকা। এই খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছেন কাকিমাও। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসিতে। একটি ফার্ম থেকে ১২ বছর বয়সি এক নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গলা ও গোপনাঙ্গ কাটা ছিল। কী কারণে নাবালককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তা ঘিরে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা থেকে নাবালক নিখোঁজ ছিল। তখন থেকেই পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। সোমবার খুঁজতে খুঁজতে ওই ফার্মে চলে যান সদস্যরা। সেখানেই তল্লাশি চালানোর সময় নাবালকের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহটি নজরে পড়ে তাঁদের। 

মৃত নাবালকের পরিবারের অভিযোগ, নৃশংসভাবে তাকে খুনের নেপথ্যে রয়েছেন কাকা অবতার ও কাকিমা মঞ্জু। পারিবারিক ঝামেলার কারণেই নাবালকের উপর প্রতিশোধ নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা। কী কারণে খুন করা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই যে ঘর থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে ফরেন্সিক টিম পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে।