ধর্মান্তরিত হচ্ছেন সোনাক্ষী সিনহা? স্ত্রীকে নিয়ে দুবাইয়ের মসজিদে ঢুকেই কোন সত্যি সামনে আনলেন জাহির?
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৮ : ৫৮
শেয়ার করুন
1
6
সম্প্রতি বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা এবং জাহির ইকবাল তাঁদের মধুচন্দ্রিমা এবং ভ্রমণ অভিজ্ঞতা একটি ভ্লগে ভাগ করার পর ফের একবার খবরের শিরোনামে এসেছেন। গত বছর জুনে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট-এর অধীনে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। আন্তঃধর্মীয় এই বিয়ের পর থেকেই নেটমাধ্যমে নানা ধরনের সমালোচনা ও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই জুটিকে। তবে তাঁরা বরাবরই হাস্যরস ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই সমস্ত কটাক্ষের মোকাবিলা করে এসেছেন।
2
6
দুবাই ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে সম্প্রতি এই জুটি আবুধাবি সফরে যান। সেখানেই তাঁরা ভ্রমণসূচির অংশ হিসেবে আবুধাবির আইকনিক শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। ভ্লগে সোনাক্ষী সিনহাকে দেখা যায় দারুণ উৎসাহী। তিনি বলেন, "আজ আমরা আবুধাবিতে এসেছি... আবুধাবি ট্যুরিজম আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এই শহরটি ঘুরে দেখার জন্য। আমি খুব উচ্ছ্বসিত, কারণ এই প্রথম আমি কোনও মসজিদে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। আমি এর আগে মন্দির এবং চার্চে গিয়েছি, কিন্তু কখনও মসজিদে যাইনি।"
3
6
সোনাক্ষীর এই কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জাহির ইকবাল রসিকতা করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, "বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য বলছি, আমি ওকে ধর্মান্তরিত করার জন্য এখানে নিয়ে আসিনি। আমরা শুধু এটি দেখতে যাচ্ছি কারণ শুনেছি, জায়গাটা সত্যিই খুব সুন্দর।"
4
6
জাহিরের এই মজাদার মন্তব্য শুনে সোনাক্ষী সঙ্গে সঙ্গেই হেসে ওঠেন আ্য বলেন, "স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট জিন্দাবাদ!" তাঁদের এই খুনসুটিপূর্ণ মুহূর্তটি এবং বিশেষ করে আইনের নামটি উল্লেখ করার বিষয়টি মূলত তাঁদের বিয়ে নিয়ে হওয়া সমস্ত বিতর্ক ও ট্রোলিংয়ের প্রতি একটি মজার উত্তর হিসেবে কাজ করে। এই আইনটিই তাঁদের ধর্মান্তরিত না হয়েও বিয়ে করার সুযোগ দিয়েছে।
5
6
নেটিজেন ও অনুরাগীরা জাহিরের এই রসবোধ এবং পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতাকে অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, এভাবেই তাঁরা সমস্ত সমালোচকদের কৌতুকপূর্ণ উপায়ে জবাব দিয়েছেন।
6
6
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাত বছর প্রেমের পর সোনাক্ষী ও জাহির অত্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের এই সফর প্রমাণ করে যে, তাঁরা বাইরের কোনও সমালোচনার তোয়াক্কা না করে নিজেদের জীবন দারুণভাবে উপভোগ করছেন এবং একে অপরের সংস্কৃতিকে সম্মান করছেন।