পারদ নামছে ধীরে ধীরে। পূর্বাভাস অনুযায়ী এই বছর জাঁকিয়ে শীত পড়বে। এখনই ভোর আর রাতের দিকে ভালই শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক ভাবে শীত পড়ার আগেই এখন অনেকেরই ত্বক রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে। ফাটছে ঠোঁট, পা। এই বছর শীতে রুক্ষতাকে দূরে রাখতে অন্য কিছুর বদলে ব্যবহার করুন ঘি এবং মাখন। ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি দিন। 

ভারতীয় হেঁসেলে ঘি, মাখনের ব্যবহার বহু যুগের। কেবল খাদ্য হিসেবে নয়, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বককে ভাল, উজ্জ্বল এবং মোলায়েম রাখতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই লো ফ্যাট ডায়েটের যুগে আবারও ডায়েটে জায়গা করে নিচ্ছে দুগ্ধজাত ফ্যাট অর্থাৎ ঘি এবং মাখন। ত্বককে ভিতর থেকে ভাল রাখতে এই ফ্যাটের বিকল্প নেই। 
শীতকালে ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। বাইরে থেকে ক্রিম, লোশন লাগিয়ে সবসময় কাজ হয় না। তার জন্য চাই ভিতর থেকে পুষ্টি। ঘি এবং মাখনে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এই দুই উপাদানই ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। তাই দৈনন্দিন জীবনে এক চামচ ঘি বা মাখন খেলেও ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল রাখে। জোগায় আর্দ্রতাও। 

ভিটামিন এ এবং ই-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে মেরামত করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড নমনীয়তা বাড়ায়। কমায় প্রদাহ। ঘিয়ে থাকা বাইটুরিক অ্যাসিড পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, যা আখেরে ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। 

শীতকালে আরও এক সমস্যা হল, এই সময় অনেকেই জল কম খান। কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য ঘি, মাখনের পাশাপাশি নিয়মিত ৩-৪ লিটার জল খাওয়াও জরুরি। 

ফলে শীতকালে লোশন, ক্রিম মাখার পাশাপাশি ঘি, মাখনও রোজকার ডায়েটে রাখুন। আর সঙ্গে থাক পর্যাপ্ত পরিমাণ জল।

এছাড়া খাওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন ঘিয়ের প্যাক। এটির জন্য লাগবে দুই চামচ ঘি, এক চামচ নারকেল তেল, ১ চামচ কাঠবাদামের তেল এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল। এবার সবার আগে ঘি এবং নারকেল তেল একটি পাত্রে রেখে গলিয়ে নিন ভাল করে। তারপর সেটা গ্যাস থেকে নামিয়ে তাতে মেশান কাঠবাদামের তেল। দিয়ে দিন কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল। এবার ভাল করে সবটা মিশিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর সেটাকে একটা কৌটোতে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখুন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে মাখুন ঘরে বানানো এই ঘিয়ের ময়েশ্চরাইজার। ফল দেখতে পাবেন নিজেই।