সঠিক হেয়ারস্টাইল পুরো লুকই বদলে দিতে পারে, এমনটাই জানাচ্ছেন সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময়ই দেখা যায়, ভাল পোশাক বা নিখুঁত মেকআপ থাকা সত্ত্বেও ভুল হেয়ারস্টাইলের কারণে ম্লান লাগে দেখতে। তাই নিজের মুখের আকৃতি বুঝে সেই অনুযায়ী স্টাইল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে মুখের গড়ন অনুযায়ী কীভাবে সঠিক হেয়ারস্টাইল নির্বাচন করবেন এবং কোন স্টাইল কোন আকৃতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, জেনে নিন।
প্রথমেই জেনে নেওয়া জরুরি আপনার মুখের গড়ন কী—ওভাল, রাউন্ড, স্কোয়ার, হার্ট বা ডায়মন্ড। একবার মুখের গঠন বুঝে গেলে হেয়ারস্টাইল বাছা অনেক সহজ হয়ে যায়। ওভাল শেপকে সবচেয়ে ব্যালান্সড বলে মনে করা হয়৷ তাই এই মুখে প্রায় সব ধরনের কাটই মানিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লেয়ার্ড কাট, সাইড–সুইপ্ট ব্যাংস বা লং ওয়েভি হেয়ার, সবকিছুই ওভাল শেপের সঙ্গে যায়।
রাউন্ড ফেসের ক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকে মুখকে লম্বাটে দেখানো। তাই রিপোর্টে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে লেয়ারিং–যুক্ত লম্বা হেয়ারস্টাইল কিংবা সাইড–পার্টেড স্টাইল নেওয়ার জন্য। এতে মুখের গোল ভাব কমে এসে গঠন দীর্ঘ দেখায়। একইভাবে যারা স্কোয়ার শেপের মুখের অধিকারী, তাদের জন্য নরম লেয়ার, কার্টেন ব্যাংস বা ওয়েভি স্টাইল আদর্শ। এগুলো জ–লাইনকে নিখুঁত করে এবং হাই ফোরহেডও ব্যালান্স করে।
হার্ট–শেপড মুখে কপাল চওড়া হলেও চিবুক সরু থাকে। তাই এই ধরনের মুখে চিন–লেংথ বব, সফট কার্ল বা সাইড ফ্রিঞ্জ চমৎকার মানিয়ে যায়। ডায়মন্ড শেপের মুখের ক্ষেত্রে চোয়াল ও গালের হাড় স্পষ্ট থাকে, তাই ফোরহেড ও চোয়াল ব্যালান্স করতে সাইড–পার্ট, লং বব বা শোল্ডার–লেন্থ ওয়েভ উপযুক্ত বিকল্প।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, শুধু মুখের আকৃতি নয়, চুলের ঘনত্ব, ধরন এবং ব্যক্তিগত স্টাইল–পছন্দও হেয়ারস্টাইল নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেক সময় ঘন চুলে শর্ট বব মানালেও পাতলা চুলে লেয়ারিং বেশি কার্যকর। চুল স্ট্রেইট, ওয়েভি নাকি কার্লি—এটিও কাটের ধরণ ঠিক করে দেয়।
একইসঙ্গে নিজের ফেস শেপ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং চুলের প্রকৃতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সেরা লুক পাওয়ার চাবিকাঠি। সঠিক স্টাইল শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বাড়ায় আত্মবিশ্বাসও। আপনি চাইলে কোনও হেয়ার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েও নিজের জন্য পারফেক্ট স্টাইল বেছে নিতে পারেন।
