আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পুশ আপ এমন একটি ব্যায়াম যা সারা শরীরের মাংসপেশি শক্ত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বুক, কাঁধ, কোর পেশীর শক্তি বাড়ায়। এই ব্যায়ামে কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হয় না। ফিটনেস বজায় রাখতে যে কোনও জায়গাতেই করতে পারেন পুশ আপ। তবে দেখতে সহজ মনে হলেও এই ব্যায়ামটি করা মোটেই সহজ নয়।
আপনি একসঙ্গে কতগুলি পুশ আপ করতে পারবেন তা নিজের শক্তির, অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সকালে উঠে ২০টি পুশ-আপ করার বহুবিধ উপকার রয়েছে। সকালে পুশ-আপ করলে বিপাক ক্রিয়া দ্রুত হয়। রক্ত প্রবাহ উদ্দীপিত হয়, স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় থাকে। এটি এন্ডোরফিন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে যা গোটা দিনের জন্য একটি ইতিবাচক মানসিক ও শারীরিক এনার্জি জোগায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দশটির কম পুশ আপ করলেও ভাল ফল মিলবে। তবে ১০, ২০, ৩০ যত সংখ্যক পুশ আপই করুন না কেন, শরীরের ওজনের ভারসাম্য দু’হাতের উপর রেখে পুরো শরীরকে উপর-নীচ করা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজ নয়। যার জন্য সঠিক নিয়ম মানা জরুরি। তবেই সুফল পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে যে ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন তা হল-
*ঠিক জায়গায় হাত রাখবেন। অর্থাৎ পুশ আপ করার সময়ে একদম কাঁধ বরাবর সোজাসুজি হাত রাখতে হবে। হাতের তালু থাকবে মাটির উপরে। নইলে ব্যায়ামের পুরো উপকারিতা পাবেন না।
*পুশ আপের সময়ে ঘাড় নিচু করে নীচের দিকে তাকালে হয়তো আপনার উপর-নীচ করতে সুবিধা হতে পারে। কিন্তু এতে ঘাড়ে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঙ্গে এই ব্যায়ামের কার্যকারিতাও কমে যায়। তাই ঘাড় সব সময়ে সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
*অনেকেই পুশ আপ সময়ে নীচে নামতে হলে নিতম্ব ঝুঁকিয়ে ফেলেন। এতে হঠাৎ কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই পুশ আপ করার সময়ে গোটা শরীর একটি সমান রেখায় রাখুন।
*পুশ আপ করার সময়ে শরীর যেন কখনও মাটিতে স্পর্শ না করে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বেশিরভার দ্রুত এই ব্যায়াম করতে হলে ভুল হয়ে যায়।
*যে কোনও শরীরচর্চায় নিঃশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পুশ আপে শরীর নিচের দিকে নামানোর সময় শ্বাস নিন এবং উপরে ওঠার সময়ে শ্বাস ছাড়ুন।
