আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক মুঠো বাদাম, এক চুমুক চা — বাঙালির বিকেলের চেনা ছবি। কিন্তু সেই বাদামের থালায় এখন রাজত্ব করছে এক নতুন অতিথি — আখরোট। ইংরেজিতে যার নাম ‘ওয়ালনাট’। দেখতে খানিকটা মস্তিষ্কের মতো, স্বাদে হালকা তেতো, আর গুণে? রাজার রাজা। আজকাল চিকিৎসক থেকে ডায়েটিশিয়ান, সবাই বলছেন — রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকুক একমুঠো আখরোট। শুধু স্মার্ট ডায়েট নয়, শরীর আর মনের যত্নেও এই বাদাম অনন্য।
১. মস্তিষ্কের বন্ধু এই বাদাম
আখরোটের চেহারাই যেন বলে দিচ্ছে, এটি মস্তিষ্কের খোরাক। বিজ্ঞানও তাই বলছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, স্নায়ুকে মজবুত করে এবং অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। শিশু থেকে প্রবীণ — সকলের জন্যই উপকারী।
২. হৃদরোগ ঠেকাতে সহায়ক
আখরোটে থাকা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আখরোট খেলে হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকে, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমে। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রতিদিন তিন-চারটি আখরোটই যথেষ্ট।
৩. হজমে সাহায্য করে, কমায় ওজনও
আখরোটে রয়েছে ফাইবার, যা হজমের প্রক্রিয়া মসৃণ রাখে। একইসঙ্গে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরতি রাখে, ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া কমে যায়। যাঁরা ওজন কমানোর পথে হাঁটছেন, তাঁদের জন্য আখরোট কার্যকরী বিকল্প হতে পারে।
৪. ত্বক ও চুলের যত্নে অনন্য
আখরোটে থাকা ভিটামিন ই এবং বায়োটিন ত্বকের জেল্লা বাড়ায় ও চুল পড়া কমায়। ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হয়, আর চুল পায় শক্তি। অনেকেই আখরোটের তেল ব্যবহার করেন চুলে ও ত্বকে, কিন্তু খাওয়ার মাধ্যমেও এর সুফল মেলে।
৫. ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, আখরোটে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ক্যানসার কোষ গঠনের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। বিশেষ করে স্তন ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে আখরোট উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
