আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্য সচেতন। কিন্তু স্বাস্থ্যেfর হাজার যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও অসুস্থতা যেন অনেক পরিবারের পিছু ছাড়ে না। দু’দিন যেতে না যেতেই রোগেভোগে আক্রান্ত হতে থাকেন। সঠিক খাদ্যাভাস, জীবনযাপন করেও মেলে না সুরাহা। যার মূলে থাকতে পারে বাড়ির কয়েকটি মারাত্মক ক্ষতিকর জিনিস। তাহলে সুস্থ থাকতে বাড়ি থেকে বিদায় করবেন কোন জিনিসগুলি? জেনে নিন-
১. অনেকদিন ব্যবহারের ফলে ননস্টিক প্যানে চিড় ধরে যায় বা দাগ হয়ে যায়। কম-বেশি প্রায় সকলের বাড়িতেই এমন ননস্টিক রয়েছে। আপনিও যদি এই ধরনের ননস্টিক ব্যবহার করেন তাহলে খুব সাবধান! কারণ চিড় ধরা বা দাগ পড়া নন-স্টিকের প্যানে একবার রান্না করলে গড়ে ১০ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। আর তা যে শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর তা বলাই বাহুল্য। এটি শরীরে বিপজ্জনক মাত্রায় জমা হতে থাকলে বিপাকীয় কাজ বাধা পায়, বাড়তে থাকে ওজন। সঙ্গে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ে। প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, কমে যায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও। তাই রান্নার সময় ও পরিষ্কার করার সময় যেন নন-স্টিক পাত্রের উপরিতলে কোনও ধরনের আঁচড় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
২. অনেক বাড়িতেই অন্দরসজ্জার জন্য সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করা হয়। কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি সুগন্ধি মোমবাতিতে সাধারণত থ্যালেট থাকে। যা আমাদের শরীরের থাইরয়েড ও অ্যা ড্রেনাল গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে। ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নষ্ট হয়। তাই বাড়িতে এই ধরনের মোমবাতি থাকলে তা অজান্তেই হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়, ক্ষতি হয় প্রজননতন্ত্রের। তাই এই ধরনের মোমবাতি ঘরে না রাখাই উচিত। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি বানাতে পারেন।
৩. অনেকের বাড়িতেই প্লাস্টিকের চপিং বোর্ড ব্যবহার করা হয়। সময়ের সঙ্গে এই ধরনের চপিং বোর্ড ছুরির আঘাতে নষ্ট হতে শুরু করে। আর এই ক্ষতিগ্রস্ত বোর্ডে কিছু কাটলে তাতে সরাসরি মাইক্রোপ্লাস্টিক চলে যায়। যা থেকে হতে পারে হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হরমোনের সমস্যা। এমনকি সন্তানধারণের ক্ষমতাও কমে যায়। তাই কাঠের চপিং বোর্ড ব্যবহার করাই শ্রেয়।
