আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলছে পরীক্ষার ফল প্রকাশের মরশুম। কেউ সবাইকে চমকে দিয়ে দুর্দান্ত ফল করছেন, কারও ফল আবার ততটাও আশানুরূপ হচ্ছে না। সন্তানের পরীক্ষার ফল আশানুরূপ না হলে বাবা-মায়েদের হতাশ হওয়াও স্বাভাবিক। তবে মনে রাখবেন, আপনার থেকেও আপনার সন্তান হয়তো আরও বেশি হতাশ। এই সময়ে তার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাবা-মায়ের সমর্থন ও সঠিক পথের দিশা। এই পরিস্থিতিতে বাবা-মায়েরা কীভাবে সন্তানকে সামলাবেন?

১. সহানুভূতি ও মানসিক সমর্থন: পরীক্ষার ফল খারাপ হলে সন্তানের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত থাকতে পারে। এই সময়ে তাদের বকাবকি না করে তাদের পাশে দাঁড়ান। তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন এবং সহানুভূতি দেখান। মনে রাখবেন, আপনার সমর্থন সন্তানের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তাদের বলুন যে একটি পরীক্ষার ফল জীবনের সবকিছু নয়, ব্যর্থতা থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে।

২. খোলামেলা আলোচনা: সন্তানের সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলুন। কেন ফল খারাপ হল, তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। পড়াশোনায় কোনও বিশেষ বিষয়ে সমস্যা ছিল কিনা, পরীক্ষার সময়ে কোনও মানসিক চাপ ছিল কিনা, অথবা অন্য কোনও বিষয় তাকে অমনোযোগী করে তুলেছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করুন। খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার মূল কারণ চিহ্নিত করা সহজ হবে।

৩. ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা: অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে বেশি আলোচনা না করে ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করুন। সন্তানকে তার লক্ষ্য স্থির করতে সাহায্য করুন এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তা একসঙ্গে বসে ঠিক করুন। প্রয়োজনে শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন। নতুন উদ্যমে পড়াশোনা শুরু করার জন্য তাকে উৎসাহিত করুন।

৪. ইতিবাচক মনোভাব তৈরি: সন্তানের মনে ইতিবাচক মনোভাব জাগিয়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাকে বোঝান যে চেষ্টা করলে সবকিছুই সম্ভব। তার ছোট ছোট সাফল্যগুলোর প্রশংসা করুন। এতে সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সে নতুন করে চেষ্টা করার অনুপ্রেরণা পাবে।

৫. অন্যের সঙ্গে তুলনা নৈব নৈব চ: অন্য কারও সন্তানের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করা একেবারেই উচিত নয়। প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র এবং তাদের ক্ষমতা ও দুর্বলতা ভিন্ন। তুলনা করলে সন্তানের মনে হীনম্মন্যতা তৈরি হতে পারে, যা তার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর পরিবর্তে, সন্তানকে তার নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে উৎসাহিত করুন।